ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি’র ৪১তম সভায় সরকারের বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদন গৃহিত হওয়ায় রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক- ই-এলাহি চৌধুরী বীর বিক্রম আজ বিদ্যুৎ ভবনে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন ‘ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সুপারিশ অনুসারে ওই জায়গায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।’ খবর বাসস’র।
তিনি বলেন, ওই অঞ্চলে ‘কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা’ (এসইএ) সম্পন্ন হওয়ার আগে কোন ধরনের বৃহদাকার অবকাঠামো নির্মাণ করা উচিত হবে না বলে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ‘ইউনেস্কো’- স্পষ্ট করেছে।
উল্লেখ্য, সরকার দেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কয়লা-ভিত্তিক একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
ড. তৌফিক বলেন, ‘আমরা দুই বছরের মধ্যে এসইএ সম্পন্ন করব, পাশাপাশি এসইএ-এর একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন ২০১৮ সাল নাগাদ তৈরি করা হবে। পরিবেশগত সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে আমরা প্রশমনের পদক্ষেপ নেব।’
বিশ্ব ঐতিহ্য তথা সর্ববৃহৎ ‘ম্যানগ্রোভ বন’ সুন্দরবনের ব্যাপারে সরকার সচেতন রয়েছে উল্লেখ করে জ্বালানী উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্রুত প্রশমনের পদক্ষেপ নেওয়ার লক্ষ্যে আমরা প্রকল্পটি তথা পরিবেশ পর্যবেক্ষন করব।’
তিনি আরও বলেন, ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি’র ৪১তম সভায় পর্যবেক্ষক হিসাবে সরকার সাফল্যের সঙ্গে বৈজ্ঞানিক ও যুক্তিসম্মত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।