ক্রেতা দেশের প্রতি চাপ সৃষ্টির অর্থ হলো আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসাতে আমেরিকা একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করতে চায়। রাশিয়ার কাছ থেকে তুরুস্কের ক্ষেপণাস্ত্র কেনার খবর প্রকাশ হওয়ার পর আমেরিকা এফ-৩৫ বিমান বিক্রির বিষয়ে তুরস্কের সঙ্গে যে চুক্তি করেছিল তা বাতিলের হুমকি দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মূলত রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র কেনার খবরে আমেরিকা ক্ষুব্ধ হয়ে এ ধরণের হুমকি দিয়েছে।
এ ঘটনার পর রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সোমবার ওয়াশিংটনের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘তুরস্কসহ রাশিয়ার সম্ভাব্য অস্ত্র ক্রেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এজন্য আমেরিকা ক্রেতা দেশকে সময়সীমা বেধে দিচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের এ ধরনের চাপ ও ভুল পদক্ষেপ বাড়তি দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবে।’
কিন্তু অস্ত্র ক্রেতারা মার্কিন এই চাপ উপেক্ষা করবে এবং তারা তাদের সিদ্ধান্ত মতোই কাজ করবে বলে মনে করেন তিনি।
অন্যদিকে মার্কিন হুমকিকে অগ্রহণযোগ্য বলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। মার্কিন হুমকির ভাষার নিন্দা জানিয়ে পরিষদ বলছে, ‘তুরস্কের নিরাপত্তা বিষয়ে মার্কিন সরকারের এই চাপ দুই দেশের সম্পর্ককে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’