রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে আজ বিকেলে বঙ্গভবনে বাংলাদেশে আর্মেনিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও মারিশাস এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নবনিযুক্ত হাইকমিশনারগণ তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
তিনজন অনাবাসিক দূত হলেন : আর্মেনিয়ার আরমেন মার্টিরোজিয়ান, মারিশাসের জগদীশ্বর গোবর্ধন ও দক্ষিণ আফ্রিকার রবিনা প্যাট্রিসিয়া মার্কস।
দূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্রনীতিতে সবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বন্ধুসুলভ সম্পর্কের ক্ষেত্রকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সেক্রেটারি মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাসসকে জানান, তিনি আশা করেন, এখানে তাদের কার্যকালে তারা নিজ-নিজ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত করবেন।
রাষ্ট্রপতি ব্যবসা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এই তিনটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের সামগ্রিক অগ্রগতি, বিশেষ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের উন্নয়নে এবং সরকার গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়গুলো রাষ্ট্রদূতদের অবহিত করেন।
দেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার জন্য বাংলাদেশ ও এই তিন দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে রাষ্ট্রদূতেরা দ্বিপাক্ষিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। দূতগণ রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে বলেন, আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই তারা করবেন। তারা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং তাদের দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ বঙ্গভবনে আসার পর প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর)-এর একটি চৌকষ দল পৃথকভাবে তাদেরকে গার্ডস অব অনার প্রদান করেন।