প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে সরকারের রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে আরো কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
জাতীয় আয়কর দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ বছর জাতীয় আয়কর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আয়কর প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ধারাবাহিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ’। শুক্রবার এ দিবস পালিত হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রের রাজস্ব ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি গড়ার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মসূচির ছোঁয়া জাতীয় পর্যায় থেকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। অভূতপূর্ব সাড়া আর করদাতাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী এক ছাদের নীচে করসেবা প্রদানের মাধ্যমে ১৩ থেকে ১৯ নভেম্বর আয়কর মেলা-২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ দিনে ২ হাজার ৪৬৮ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৫ টাকার রেকর্ড পরিমাণ আয়কর আহরিত হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে ৭ দিন, ৫৬টি জেলা শহরে ৪ দিন, ৩২টি উপজেলায় ২ দিন এবং ৭০টি উপজেলায় ১ দিনব্যাপী এ বছর আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবছর আয়কর মেলায় করদাতাদের অভূতপূর্ব সাড়া কর আহরণে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, আয়কর প্রদানকে সামাজিক মর্যাদার প্রতীক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এবং করদাতাগণকে স্বপ্রণোদিতভাবে কর প্রদানে আগ্রহী ও অনুপ্রাণিত করতে ‘জেলাভিত্তিক সর্বোচ্চ ও দীর্ঘ সময় করদাতাদের পুরস্কার প্রদান নীতিমালা-২০০৮, প্রণয়ন করা হয়। এ নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিবছর ৩টি ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড এবং ১৪১ জন করদাতাকে সর্বোচ্চ ও দীর্ঘমেয়াদি কর প্রদানের ভিত্তিতে সম্মাননা সনদ প্রদান করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, কর আহরণের পাশাপাশি সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা নিশ্চিত করাই কর বিভাগের প্রধান কাজ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির ৭৬ নম্বর আদেশ বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠন করে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে এই বোর্ডকে অধিকতর দক্ষ, কার্যকর, গতিশীল এবং শক্তিশালী করার যাবতীয় উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি।
বাণীতে তিনি রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে জাতীয় আয়কর দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন ও দেশের সকল করদাতা এবং আয়কর বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় আয়কর দিবস ২০১৮ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।