বাংলাদেশ ইচ্ছা করলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল এবং সহযোগী স্থাপনাগুলোর ফিজিক্যাল সুরক্ষা ব্যবস্থার নকশা প্রনয়ণ ও বাস্তবায়নে রাশিয়ার বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করতে পারবে। সোমবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি এজেন্সির (আইএইএ) ৬২তম সাধারণ সম্মেলন চলাকালিন এ সম্পর্কিত একটি প্রোটোকল স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং রাশিয়ার রাস্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন ‘রসাটম’ এর মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচোভ প্রোটোকলটিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন, রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইফুল হক, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নঈম চৌধুরীসহ রসাটমের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে একটি (রূপপুর) পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে বাংলাদেশ ও রুশ সরকারের মধ্যে ২০১১ সালের ২ নভেম্বর স্বাক্ষরিত অংশিদারিত্ব চুক্তিটিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হচ্ছে এই প্রোটোকলটির মাধ্যমে। আইএইএ-এর চাহিদা ও গাইডলাইন অনুসরণ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ সাইটের প্রয়োজনীয় ফিজিক্যাল সুরক্ষা ব্যবস্থার নকশা প্রনয়ন ও বাস্তবায়নের কথাও উল্লেখ রয়েছে প্রোটোকলটিতে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রতিটি ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২টি ইউনিট থাকবে। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (বায়েরা) কঠোর মনিটরিং প্রক্রিয়ায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রসাটমের প্রকৌশল শাখা এটমস্ত্রয়এক্সপোর্ট (এএসই)।