রাশিয়া বিশ্বকাপ ঘিরে জঙ্গিদল আইএস বহুদিন ধরেই হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা বিনা কারণে নিরীহ মানুষ মারতে খুব পছন্দ করে। তাদের হুমকি পোস্টারে কখনও লিয়োনেল মেসি, কখনও বা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ছবি দেখা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই যার কারণে এবারের বিশ্বকাপে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জঙ্গি ছাড়াও ভক্ত-মিডিয়ার ধাক্কাধাক্কি তো আছেই। এসব সামলাতে একজন বডিগার্ড প্রয়োজন হয়ে পড়েছে পর্তুগিজ সুপারস্টারের।
রাশিয়ায় রোনালদোর সঙ্গে দেখা যাবে এমন এক জনকে, যিনি খালি হাতে ষাঁড়ের সঙ্গে লড়াই করে অভ্যস্ত। সোজা কথায়, পর্তুগালের এক বুলফাইটারকে দেহরক্ষী বানিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে আসছেন সি আর সেভেন! ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতা, সাবেক সেনা সদস্য নুনো মারেকস মিক্সড মার্শাল আর্টসে পারদর্শী। যিনি অবসর সময় রিংয়ে নামেন ষাঁড়ের মোকাবেলা করতে। তবে স্পেনে যেমন তলোয়ারের কোপে ষাঁড়কে করা হয়, পতুর্গালে ব্যাপারটা তেমন নয়।
রোনালদোর দেশে খালি হাতে ষাঁড়ের মোকাবিলায় নামেন নুনো এবং তার দল। ধেয়ে আসা ষাঁড়ের শিং ধরে লড়াই করেন নুনো। হাজার হাজার লোকের সামনে হত্যাও করা হয় না ষাঁড়কে। কিয়েভে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এই নুনোকে দেখা গেছে রোনালদোর সঙ্গে। এবার সেই দেহরক্ষীকে সঙ্গে নিয়েই রাশিয়া বিশ্বকাপে আসছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। কিন্তু কেন এক জন বুলফাইটারকে বেছে নিলেন রোনালদো?
ফুটবল মহাতারকার ঘনিষ্ট একজন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, রোনালদো বুলফাইট দেখতে অত্যন্ত পছন্দ করেন। সেখানেই নুনোকে দেখে তাঁর পছন্দ হয়েছে। ‘পর্তুগালে নুনোকে অনেক লড়াইয়ে দেখে রোনালদো। তার পরে ওর মনে হয়েছে, নুনোর মতো শক্তিশালী এবং লড়াকু লোক খুব কমই আছে। রোনালদো ভালোই জানে, নুনোর মতো কেউ পাশে থাকলে, কারও পক্ষে সম্ভব হবে না ওকে কিছু করার। কিয়েভে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের সময় নুনো ওর সঙ্গে ছিল। এবার বিশ্বকাপেও থাকবে।’