ডিএমপি নিউজঃ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি মানবিক কারণে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জণগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে মানবাধিকার রক্ষায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্বের সকল মানুষের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গতকাল রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস-২০১৭’ উপলক্ষ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত ‘সমতা, ন্যায়বিচার এবং মানবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হোলেস্টাইন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো, মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নজরুল ইসলাম প্রমুখ। ২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। তার অবিংসবাদিত নেতৃত্বে জাতি পেয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে দেশের জন্য প্রথম সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। এই সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকারসমূহ সংযোজন করা হয়।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি মানবিক কারণে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জণগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে মানবাধিকার রক্ষায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মানবতার এ নির্দশন স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্ববাসীর কাছে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে আখ্যায়িত। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শেখ হাসিনার ৫-দফা সুপারিশের আলোকে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।বিবি/০১