ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আবারও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে উন্মুক্ত আলোচনায় ফ্রান্সের প্রতিনিধি বলেন, ‘অক্টোবরে তার দেশ নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্সি গ্রহণ করবে এবং মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে তার (ফ্রান্সের) পূর্ণ মনোযোগ থাকবে। আমরা যুক্তরাজ্যের সহায়তায় নিরাপত্তা পরিষদে উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করবো এবং সেখানে অন্যান্য আলোচকের সঙ্গে কফি আনানও থাকবেন।’
ফ্রান্সের প্রতিনিধি বলেন, ‘ওই আলোচনায় মিয়ানমারের প্রকৃত পরিস্থিতি নিয়ে আমরা আরও বেশি জানতে পারবো। একইসঙ্গে কফি আনান কমিশন যে সুপারিশ করেছে, সেটির বাস্তবায়ন কিভাবে করা যায় এবং আমরা এ বিষয়ে কী করতে পারি, তা নিয়েও আলোচনা হবে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি একটি ভালো উদ্যোগ এবং নিরাপত্তা পরিষদে আমরা সেপ্টেম্বর মাসের উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছি। এই ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদে আবারও আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হলে আমরা অবশ্যই অংশগ্রহণ করবো।’
প্রসঙ্গত,মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে মোট চার দিন আলোচনা হয়েছে এবং এরমধ্যে ২৯ সেপ্টেম্বর ছিল উন্মুক্ত আলোচনা। বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন তার বক্তব্যে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, ‘গত তিন দশকের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, আন্তর্জাতিক চাপ সরে গেলে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা গতি হারিয়ে ফেলে।
আগস্ট ২৫ থেকে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের কারণে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এছাড়া, কয়েক হাজার রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ ও মিয়ানমার সফরের আহ্বান জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এর মাধ্যমে তারা রোহিঙ্গাদের ওপর কী ধরনের নির্যাতন হচ্ছে, সেটি জানতে পারবেন।’