বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে রোহিতের সেঞ্চুরীতে পাকিস্তানের সামনে ৩৩৭ রানের পাহাড়সমান লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে দিলো ভারত। এই লক্ষ্য পার হতে হলে রীতিমতো ইতিহাস গড়তে হবে পাকিস্তানকে। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৩২৭ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড রয়েছে। এবার পাকিস্তানকে জিততে হলে এই রেকর্ডই ভাঙতে হবে। পারবেন কি না পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা, সেটা সময়ই বলে দেবে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ধুন্ধুমার ব্যাটিং শুরু করেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং লোকেশ রাহুল। ৬০ বলে অর্ধশত রান হয়ে যায় ভারতের। বিধ্বংসী মেজাজে থাকা রোহিত মাত্র ৩৪ বলে ৬ চার ২ ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ভারতের পরের ফিফটি হয় আরও কম সময়ে; মাত্র ৪৫ বলে। রোহিতের চেয়ে একটু ধীরে খেলে ৬৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লোকেশ রাহুল। অবশেষে দলীয় ১৩৬ রানে ওপেনিং জুটিতে ভাঙন ধরান ওয়াহাব রিয়াজ। ৭৮ বলে ৫৭ রান করে বাবর আজমের তালুবন্দি হয়ে ফিরেন লোকেশ রাহুল।
কিন্তু থামানো যায়নি ‘হিটম্যান’ খ্যাত রোহিত শর্মাকে। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে তুলে নেন চলতি বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ১২২* রান করেছিলেন রোহিত। আজ ক্যারিয়ারের ২৪তম সেঞ্চুরি তুলে নিতে খেলেছেন ৮৫ বল এবং হাঁকিয়েছেন ৯ চার ৩ ছক্কা। ভয়ংকর এই ব্যাটসম্যানকে থামান হাসান আলী। ততক্ষণে তিনি ১১৩ বলে ১৪ চার ৩ ছক্কায় ১৪০ রান তুলে ফেলেছেন। মোহাম্মদ আমিরের বলে মারকুটে অল-রাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া (২৬) চারে নেমে বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন।
এমন বিগ ম্যাচে অনেকটা অবাক করেই মাত্র ১ রান করে মোহাম্মদ আমিরের দ্বিতীয় শিকার হন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তখন ভারতের স্কোর ৩০৫। উইকেটে থাকা অধিনায়ক বিরাট কোহলি ৫১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে ফেলেছেন। ম্যাচের এই পর্যায়ে নেমে আসে বৃষ্টি। বন্ধ হয়ে যায় খেলা। প্রায় আধঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পুনরায় ম্যাচ শুরু হয়। আমিরের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেন ৬৫ বলে ৭৭ রান করা কোহলি। শেষে বিজয় শংকর আর কেদার যাদবের ব্যাটে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রান তোলে ভারত। ৪৭ রানে ৩ উইকেট নেন আমির।