নিজেদের অবস্থান থেকে সরে না এসেই ভারত ডোকলামে চীনের সঙ্গে সমস্যা মিটিয়েছে বলে সম্প্রতি সংসদে দাবি করেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। কিন্তু এ বার লাদাখে ফের মুখোমুখি দাঁড়াল দু’দেশের সেনা। এই ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চীননীতি ফের প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন দেশটির কূটনীতিকদের একাংশ।
সূত্রের খবর, ডেমচকের কাছে শেরডং-নেরলং নাল্লান এলাকায় সপ্তাহ দুয়েক আগে অনুপ্রবেশ করে চীনা সেনা। স্থানীয় পোশাক পরে ছাগল চরাতে চরাতে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পড়েন চীনা সেনারা। তার পরে সেখানে পাঁচটি তাঁবু খাটিয়ে ফেলেন তাঁরা। খবর পেয়ে ওই এলাকায় চীনা সেনার মুখোমুখি দাঁড়ায় ভারতীয় সেনাও।
লাদাখে মোতায়েন সেনার ১৪ নম্বর কোরের কর্তারা জানিয়েছেন, নেরলং এলাকায় একটি রাস্তা তৈরি করছিল স্থানীয় প্রশাসন। সেই কাজ বন্ধ রাখার দাবি করেছে চীনা সেনা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ওই এলাকা চীনের বলে দাবি তাদের। চীনাদের জন্য ওই এলাকায় পশুচারণের অধিকারও দাবি করেছে তারা। ভারত এই দাবি মানতে রাজি নয়। ব্রিগেড কম্যান্ডার স্তরে বৈঠকের পরে দু’টি তাঁবু সরিয়েছে চীনা সেনা। কিন্তু এখনও মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছেন দু’দেশের জওয়ানেরা।
লে এলাকার প্রশাসনিক কর্তা অবনী লাভাসা জানিয়েছেন, বসন্ত ও শরৎ শেরডং-নেরলং এলাকায় পশুচারণের মৌসুম। কিন্তু গোলমালের আশঙ্কায় ভারতীয় পশুপালকদের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে এনেছে সেনা। তাঁরা আপাতত ওই এলাকা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে উলং-এ তাঁবু খাটিয়ে রয়েছেন। কিন্তু পশুচারণ না করতে পারলে তাঁরা বিপাকে পড়বেন বলে দাবি পশুপালকদের। তাই ওই এলাকায় ফেরার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা।