ষষ্ঠ আসরের ২২তম ম্যাচে এসে ২০০ রান দেখল বিপিএল। আজ শনিবার দুপুরে প্রায় দু’শ রান ছুঁয়ে ফেলেছিল সিলেট সিক্সার্স আর রংপুর রাইডার্স। প্রথমে ব্যাট করে সিলেটের দেয়া ১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল রংপুর। সন্ধ্যায় দ্বিতীয় ম্যাচে এসে দু’শ রান টপকে ২১৪ রান করেছে চিটাগং ভাইকিংস। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুলনা টাইটানস হারল ২৬ রানে।
টসে জিতে টাইটানস অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ব্যাট করতে পাঠায় চিটাগংকে। ব্যাট করতে নেমে ভাইকিংসের দুই ওপেনার মিলে করেন ১৭ রান। ক্যামেরুন দেলপোর্ট ১২ বলে বিদায় নেন ১৩ রান করে। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ শাহাজাদ খেলেন ১৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস। দলীয় ৫৬ রানের দুই উইকেট পড়ার পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি ইয়াসির আলী আর দলনেতা মুশফিককে।
দুজনই খেলেন অর্ধশত রানের ইনিংস। ইয়াসির করেন ৩৬ বলে ৫৪ আর মুশফিক করেন ৩৩ বলে ৫২ রান। ১৭.৪ ওভারে দলীয় ১৭০ রানে ভাইকিংসের চার উইকেট পড়ার পর বাকি ২.২ ওভারে ঝড় তোলেন লঙ্কান অলরাউন্ডার দাসুন সানাকা। তাকে সঙ্গ দেন আফগানি নাজিবুল্লাহ জাদরান।
১৭ বলে তিন চার আর চার ছয়ে ৪২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন সানাকা। জাদরান করেন ৫ বলে ১৬ রান। ২০ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে তখন দু’শ রান পেরিয়ে ২১৪! যা বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। খুলনার হয়ে ২ উইকেট নেন ডেভিড ওয়াইজ আর ১টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে খুলনা টাইটানসের যাচ্ছেতাই শুরু। গতকাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ৭০ রানের ইনিংস খেলা টাইটানস ওপেনার জুনাইদ সিদ্দিকী বিদায় নেন ১২ রান করে। এর আগে আরেক ওপেনার পল স্টার্লিং ফেরেন শূন্যতে।
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দুর্দান্ত ছিলেন ভাইকিংসের বোলাররা। খুলনার নিয়মিত বিরতিতে উইকেট দিয়ে আশার লাগামটা খানিকের জন্য টেনে ধরেন টাইটানস অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২৬ বলে বরাবর ৫০ করে বিদায় নেন তিনিও। এবারের বিপিএলে প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে ব্রেন্ডন টেলর করেন ১৬ বলে ২৮ রান।
টপ আর মিডল অর্ডারের বিদায়ের পর ডেভিড ওয়াইজ আর তাইজুল ইসলাম মিলে লড়াই করেন ভাইকিংসের বোলারদের সঙ্গে। চার ছয় আর দুই চারে ওয়াইজ করেন ২০ বলে ৪০ রান। তাইজুল ইসলাম টিকে থাকেন শেষ পর্যন্ত। তার ব্যাটে আসে ২০ বলে ২২ রান। ভাইকিংসের হয়ে ৩ উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী। ২টি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ আর দেলপোর্ট। ১টি উইকেট নেন নাঈম হাসান।
২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৮৮ রানে থামে খুলনার ইনিংস। সাত ম্যাচের ছয় ম্যাচে হেরে পয়েন্ট তালিকার তলানিতেই থেকে গেল খুলনা টাইটানস। অন্যদিকে পাঁচ ম্যাচে চারটিতে জিতে পয়েন্ট তালিকায় দুই নম্বরে উঠে এলো চিটাগং ভাইকিংস।