গত দুই বছরে ৮০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। করেছেন প্রায় হাজার রান। খেলেছেন সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি বল। এই সময়ে তাঁর চেয়ে বেশি ম্যাচ কেউ খেলেননি। আইপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ গণনা করলে হিসাবটা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। বছরে প্রায় ষাটটার বেশি ম্যাচ খেলতে হয়েছে তাঁকে। সময়ের হিসাবে বিচার করলে বছরের অর্ধেক সময়ই মাঠে কাটিয়েছেন এই ক্রিকেটার। গত দুই বছরে ক্রিজে তাঁর চেয়ে বেশি সময় ব্যাটিং করেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান। সঙ্গত কারণেই এবার ক্রিকেট থেকে কিছুদিনের ছুটি চাইছেন এই ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শুরু আগে দেশটির ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের কাছে এভাবেই ছুটি চাইলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক।
বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতায় শুরু হচ্ছে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম টেস্ট। সিরিজ শুরুর আগে নিজের শরীরকে খানিকটা বিশ্রাম দেওয়ার প্রয়োজনীতা অনুভব করলেন টিম ইন্ডিয়ার দলপতি। কোহলি বলেন, অবশ্যই আমার বিশ্রাম প্রয়োজন। সময়ের হিসাব করলে শরীরকে কিছুটা তো ধকল সয়ে ওঠার সময় দেওয়া প্রয়োজন। আমি রোবট নই। শরীরটা কেটে দেখুন রক্তই বের হবে।’
নিজের স্বপক্ষে বেশ শক্ত যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন কোহলি। তিনি বলেন, মানুষ মনে করে বছরে সবাই তো ৪০টার মতো ম্যাচ খেলে। তবে মানুষ এটা ভাবে না কে কতক্ষণ মাঠে থাকে। মাঠের বাইরে থেকে বলাটা খুব সহজ। মাঠে সবাই এক ভূমিকা পালন করে না। সবার কাঁধে একই চাপও পড়ে না। দলে ১১ জন ক্রিকেটার খেলে এটা সত্য কিন্তু সবাই তো ৪৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করে না। তিন থেকে চারজন ক্রিকেটার দলের মধ্যে বেশি চাপ নিয়ে খেলে থাকেন। সবাই কিন্তু টেস্টে ৩০ ওভারের বেশি বল করে না। কিন্তু যারা এটা নিয়মিতভাবে করে থাকে তাদের তো বিশ্রাম দরকার পড়েই। কারণ আপনার শরীরকে তো ধকল সয়ে নেওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে হবে।’
বোলারদের কথা বলে কোহলি রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজারে কথা বলেছেন। গত দুই বছরে সাত হাজারেরও বেশি বল করেছেন অশ্বিন। জাদেজা করেছেন প্রায় সাড়ে ছয় হাজার বল। ক্রিকেটে এই সময়ে এত বেশি বল করেননি আর কেউ। কোহলি বলেন, ‘যারা ধারাবাহিকভাবে তিন ফরম্যাটে খেলে চলছেন তাঁদের অবশ্যই বিশ্রাম প্রয়োজন। এমনটা না হলে মাঠে পারফর্ম করা অসম্ভব।’
শেষ পর্যন্ত কোহলিকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিশ্রাম দেবে কি না, সেটা সময়ই বলবে। আপাতত বোর্ডের সামনে বেশ শক্ত একটা দাবি জানিয়ে রাখলেন দেশটির অধিনায়ক।