বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহিদদের প্রত্যেক পরিবারকে প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ এবং আহতদের প্রত্যেককে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
আহতদের ক্ষতিপূরণের অর্থ যত দ্রুত সম্ভব প্রদান করা হবে এবং ঢাকায় অনুষ্ঠেয় স্মরণসভায় শহিদ পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা নেতৃত্বাধীন কমিটি সমাজের সব পর্যায়ের মানুষ, বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতি জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে অনুদান প্রদানের আহ্বান জানায়।
কমিটি ফাউন্ডেশন পরিচালনার জন্য একটি অফিস স্পেস এবং স্বেচ্ছাসেবক খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এছাড়া সভায় জুলাই-আগস্ট গণজাগরণের সমস্ত ভিডিও, ছবি, মৌখিক ইতিহাস ও অন্যান্য নথি ও স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণ ও আর্কাইভ করার সিদ্ধান্ত হয়।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস সভায় জানান, যেকোনো পরিমাণ অনুদানের অর্থ নথিভুক্ত করা উচিত এবং দাতাদের তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি বলেন, সম্ভব হলে তাদের নাম ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা উচিত।
ড. ইউনূস বলেন, ‘এই ফাউন্ডেশন গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। একে সফল করতে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরো জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবে। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে তা সরকারের চিকিৎসা ব্যয়ের অতিরিক্ত হিসেবে দেওয়া হবে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান এবং ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ কাজী ওয়াকার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।-বাসস