সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে শান্তিতে নোবেল জিতল পরমাণু অস্ত্র বিলুপ্তকরণ জোট (আইসিএএন)। নরওয়ের রাজধানী অসলোতে নোবেল কমিটির প্রধান বেরিট রেইস অ্যান্ডারসন শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ৩ টার দিকে চলতি বছর শান্তিতে নোবেল জয়ী হিসেবে আইসিএএন-এর নাম ঘোষণা করেন।
আগে থেকেই সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন কার হাতে উঠছে ২০১৭ সালের শান্তির নোবেল? শোনা যাচ্ছিল তিনশ ১৮টি ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে।
অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপন্স বা আইক্যান এই সংগঠনটি পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধে কাজ করছে ।
নরওয়েতে নোবেল কমিটি বলছে, পরমাণু অস্ত্রের ভয়াবহ পরিণতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং এই অস্ত্রকে নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে চুক্তি সম্পাদনের চেষ্টার জন্যে এই সংস্থাটিকে এবার শান্তি পুরস্কার দেওয়া হলো।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে পরমাণু অস্ত্রকে পর্যায়ক্রমে নির্মূল করার লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করার জন্যে বিভিন্ন দেশের প্রতিও তিনি আহবান জানিয়েছেন। এবছরেরই জুলাই মাসে পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘে ১২২টি দেশ এক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। কিন্তু পরমাণু শক্তিধর ৯টি দেশ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ, এই প্রস্তাবে সই করেনি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু এবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপন্স নিজেদেরকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেসরকারি সংস্থার একটি জোট বলে বর্ণনা করে। দশ বছরেরও বেশি পুরনো জেনেভা ভিত্তিক এই সংস্থাটি বলছে, একশোটিরও বেশি দেশের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এই জোটের সদস্য।
পুরস্কার হিসেবে আইক্যান পাবে ১১ লাখ ডলার ও একটি নোবেল পদক। আগামী ডিসেম্বর মাসে এক অনুষ্ঠানে সংস্থাটির হাতে এসব পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
এর আগেও ১৯৯৫ সালে পরমাণু অস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে পাগওয়াশ গ্রুপ নামের একটি সংগঠনকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিলো। -বিবিসি