শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘শিক্ষা সম্প্রসারণের সাথে সাথে শিক্ষার মান সমুন্নত রাখার মাধ্যমেই কেবল যোগ্য গ্রাজুয়েট তৈরি করা সম্ভব। এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে সেই কাজটি করে চলেছে। সেই জন্য এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর (এইউবি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক এবং বিশ্ববিদ্যালয়-এর সাথে সংশি¬ষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এইউবি শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে তাদের মাঝে দেশপ্রেম, স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ, সংরক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণসহ জঙ্গীবাদমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ বজায় রেখে চলেছে।
১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয় সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে। বিগত প্রায় দুই দশক ধরে দেশের অন্যতম এ শিক্ষাতায়নটি বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে জীবনযুদ্ধে অবতীর্ণ এবং জাতির সেবায় নিয়োজিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত করে তুলেছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অত্যন্ত স্বল্প শিক্ষাব্যয়ে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে। ফলে গ্রাম-গঞ্জের অবহেলিত ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীগণ এখান থেকে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী ১০ ডিসেম্বর এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর ৬ষ্ঠ সমাবর্তনে সভাপতির এ মন্তব্য করেন। আশুলিয়াস্থ অত্র প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. জাফার সাদেক, উপ-উপচার্য প্রফেসর ড. এনামুল হক খান।