ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হাতিরঝিল থানার শিপন হত্যাকান্ডে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো – আজাদ, সুজন ও ইব্রাহীম। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখ ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের দেয়া তথ্যমতে ভিকটিম শিপনের হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ১টি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১.৩০ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোঃ আবদুল বাতেন বিপিএম, পিপিএম।
মহল্লা কেন্দ্রিক দ্বন্দ্বের কারনে শিপন হত্যা হয়েছে উল্লেখ করে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিবি বলেন, রাজধানীর হাতিরঝিলে বেগুনবাড়ি ও মধুবাগ এই দুই এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এখানকার উঠতি বয়সী ছেলের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে থাকতো। মধুবাগ এলাকার একটি মেয়ের সাথে বেগুনবাড়ির আজাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পারিবারিকভাবে ২১ ফেব্রুয়ারি ঐ মেয়ের বাসায় আজাদের পরিবার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়। বেগুনবাড়ির ছেলে মধুবাগ এলাকার মেয়েকে বিয়ে করবে এই ভেবে মধুবাগের ছেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে আজাদ ও তার পরিবারকে আটকিয়ে অপমান করে। উক্ত ঘটনার জের ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায় এবং এর জের ধরেই শিপন হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়।
হত্যাকান্ডের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে গত ২৩/০২/২০২০ তারিখ রাত অনুমান ২১.০০ টায় মোঃ শিপন ও তার বন্ধু মানিক মোটরসাইকেলে হাতিরঝিলে ঘুরতে যায়। তারা অনুমান রাত ২১.১৫ টায় মধুবাগ ব্রিজের মোড়ে এসে ইউটার্ন করে মধুবাগ ব্রিজের দিকে যাওয়ার সময় গ্রেফতারকৃতরা তাদের সহযোগীদের সহায়তায় শিপনকে মোটরসাইকেল হতে নামায়। গ্রেফতারকৃত আজাদ তার হাতে থাকা সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে শিপনের পেটে জখম করে এবং শিপনকে বাঁচাতে তার বন্ধু মানিক এগিয়ে আসলে তাকে গ্রেফতারকৃত সুজন চাকু দিয়ে পেটে জখম করে। পরবর্তী সময়ে জখম অবস্থায় শিপন ও মানিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় শিপন গত ২৩/০২/২০২০ তারিখ রাত ২৩.৪৭ টায় মৃত্যুবরণ করে।
অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানিয়ে মোঃ আবদুল বাতেন বলেন, আপনারা পরিবার হতে আপনাদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখবেন। তারা কি করছে, কার সাথে মেলামেশা করছে, তাদের চালচলন ও পোশাকে বখাটেপনা আছে কিনা? এসব বিষয়ে খেয়াল রেখে সন্তানকে পরিবার থেকে নৈতিক শিক্ষা দিলে এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে না।