শিশুকে মায়ের দুধ ও ঘরের তৈরি খাবার খাওয়ানো কার্যক্রমকে টেকসই করতে সকলকে সচেষ্ট হওয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ আহবান জনান তিনি। আগামীকাল থেকে ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০১৭ শুরু হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাতৃ ও শিশু পুষ্টি বিষয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা সক্ষম হব।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ- ২০১৭ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন,বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য ‘মাতৃদুগ্ধপান টেকসই করতে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন,আওয়ামী লীগ সরকার মাতৃ ও শিশু পুষ্টি উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে গত সাড়ে আট বছরে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার বৃদ্ধি এবং মাতৃ ও শিশু পুষ্টি উন্নয়নের কার্যক্রম টেকসই করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘আমরা মাতৃত্বকালীন ছুটি বেতনসহ ৬ মাসে উন্নীত করেছি’ উল্লেথ করে সরকারি বেসরকারি অফিসে ব্রেস্টফিডিং কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল থেকে কর্মজীবী মায়েদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনকে আরো শক্তিশালী করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, গুঁড়োদুধ ও কৌটাজাত শিশুখাদ্যের ব্যবহারকে সর্বনিম্ন স্তরে নামিয়ে আনতে ‘মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও উহা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন) আইন, ২০১৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বস্তরে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর অগ্রগতির ধারাকে জোরদার করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পুষ্টি সেবা ও বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনসহ সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সম্মিলিতভাবে কাজ কাজ করতে হবে।
তিনি ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০১৭’র সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।