স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন,”বর্তমান সরকারের আমলেই জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও ৫০ শয্যার ক্যান্সার হাসপাতালটি ৩০০ শয্যায় রূপান্তরিত হয়েছে। আজ হাসপাতালটিকে ৫০০ শয্যায় রূপান্তরিত করা হলো। ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই দেশের একমাত্র ক্যান্সার গবেষণার এই ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যা ১০০০ বেডে রূপান্তরিত করা হবে।”
আজ ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে হাসপাতালটির নতুন ভবন উদ্বোধন ও ৫০০ শয্যায় বর্ধিতকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরো বলেন,”বর্তমানে এখানে অনেক উন্নত নতুন আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিদিন এই হাসপাতালে প্রায় ৫৫০ জন রোগী রেডিওথেরাপি এবং ২৭৫ জন রোগী কেমোথেরাপি পাচ্ছেন। অধিকাংশ ক্যান্সার রোগীকে শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি মূল্যবান কেমোথেরাপির ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। এটি ক্যান্সার চিকিৎসায় দেশের সাধারণ মানুষের নানাবিধ সহায়তা করছে।”
ক্যান্সার রোগের ভয়াবহতা তুলে ধরে জাহিদ মালেক আরো বলেন,”দেশের মোট মৃত্যুর ৬৫ ভাগই হচ্ছে অসংক্রামক রোগের কারনে। মানুষ অসংক্রামক রোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ক্যান্সার রোগে।এই রোগ অত্যান্ত ব্যায়বহুল হওয়ায় সাধারণ মানুষ এই রোগের চিকিৎসা করতেই পারে না। একারনে বর্তমান সরকার এই ২০২০ সালেই সারাদেশের আট বিভাগে ১০০ শয্যার ৮টি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে।”
জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মোয়াররফ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি ইকবাল আর্সেনাল, মহাসচিব আব্দুল আজিজ,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা,অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।