শীতকালে জোড়া বা বাতের ব্যথা মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পায়। বয়স্ক লোকজন, বিশেষ করে যাঁরা আর্থ্রাইটিস, রিওমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও অস্ট্রিওআর্থ্রাইটিসের মতো হাড়ক্ষয় রোগে ভুগছেন, তাঁদের কষ্ট বহুলাংশে বেড়ে যায়। এছাড়া পেশি, লিগামেন্ট, হাড় ও স্নায়ুর ব্যথা তীব্র হয়। তাই এ সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
১। যথেষ্ট গরম কাপড় পরিধান করে শীত থেকে হাড় জোড়াকে রক্ষা করতে হবে।
২। এক অবস্থায় (বসা, দাঁড়ানো) আক্রান্ত জোড়াকে বেশিক্ষণ রাখা যাবে না।
৩। সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা কম করতে হবে। প্রয়োজনে হাতে স্টিক, পায়ে কুশনযুক্ত জুতা এবং গোড়ালি, হাঁটু, কোমর, ঘাড়, কাঁধ, কনুই ও কবজিতে সাপোর্ট বা ব্রেচ ব্যবহার করতে হবে।
৪। হালকা ব্যায়াম জোড়া ব্যথা উপশমে বেশ ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে শীতকালে কঠোর ব্যায়াম আক্রান্ত জোড়ায় রক্ত চলাচল কমিয়ে ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। জোড়ার স্বাভাবিক নড়াচড়া এবং পেশি, টেনডন ও লিগামেন্টের নমনীয়তা জোড়াকে ব্যথামুক্ত রাখে।
৫। শীতকালে উপযুক্ত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণে আর্থ্রাইটিস বা বাত ব্যথার তীব্রতা কমে আসে। এ জন্য সতেজ শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া উচিত। গাজর, শসা, মুলা ইত্যাদি সবজি ব্যথা সৃষ্টিকারী পদার্থকে শরীর থেকে সহজেই বের করে দেয়।
৬। ফলের রস সেবন জোড়াকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
৭। সকালে খালি পেটে রসুন খেলে রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জোড়ায় রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে বলে ব্যথা অনেকাংশে কম অনুভূত হয়।
৮। আদা ও লেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকালে এবং রাতে সেবন করলে আর্থ্রাইটিস ব্যথা আস্তে আস্তে কমে আসে।
৯। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘ডি’, ‘এ’ ও ‘সি’ সেবন করতে হবে। এতদসত্ত্বেও ব্যথা উপশম না হলে উপযুক্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।