শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে আগমন ঘটে কমলালেবুর। শীতের সময়ে তাই চুটিয়ে কমলালেবু খাওয়ার সময়। প্রতিদিন ডায়েটের তালিকায় একটা করে কমলালেবু তো অবশ্যই রাখবেন। তা ছাড়াও কমলালেবুকে ত্বকের যত্নের জন্য ব্যবহার করুন।
শীত আসা মানেই ত্বকে টান টান ভাব। হাজার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার পরও যাচ্ছে না ত্বকের শুষ্কতা। নিষ্প্রাণ ত্বকের যত্ন কমলালেবুর থেকে ভাল আর কেই বা রাখতে পারে? শুধু যে কমলালেবু তা নয়, কমলালেবুর খোসার গুণও কম নয়। সমাধান যখন হাতের এত কাছেই তখন চট করে জেনে নিন কমলালেবুর খোসা আপনার কী কী কাজে আসতে পারে।
-
কমলালেবুর খোসাতে থাকে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। যা আপনার মুখে হওয়া ব্রণর বিরুদ্ধে কাজ করে মুখকে ব্রণ মুক্ত করে তোলে। একটি গোটা কমলার খোসা ১ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে নিয়ে সেই পানি মুখ ধোয়ার কাজে ব্যবহার করুন।
-
ত্বকে তেলের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং ত্বককে মসৃণ, নরম করে তুলতে কমলালেবুর খোসার কোনও বিকল্প নেই। তবে কমলার খোসা সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করা যায় না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। ত্বকের জন্য তাজা কমলার খোসার সঙ্গে মুসুরের ডাল বেটে নিন। বেটে মিশ্রণটি নিয়মিত ত্বকে লাগান। এতে ত্বক মসৃণ তো হবেই, মুখের দাগও দূর হবে।
-
ট্যান তুলে ত্বক উজ্জ্বল করতে কমলালেবুর তুলনা হয়না। দুই টেবিল চামচ কমলার খোসা গুঁড়ো, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, এক টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে ভাল করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। মাসে ৩ থেকে ৪ বার করলে ভাল ফল পাবেন।
-
রোদে ঘুরে ঘুরে আপনার ত্বক পুড়ে গেছে। কমলার খোসা, হলুদ ও মধু এক সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে লাগালে ত্বকের পোড়া ভাব দূর হবে। এক টেবিল চামচ কমলার খোসা গুঁড়ো, এক টেবিল চামচ হলুদ ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে গোটা মুখ, গলায় লাগান। ১০ মিনিট পর রোজ ওয়াটার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনার অ্যাকনে থাকে, তাহলে এই প্যাক লাগাবেন না।
-
ত্বকে নেই প্রাণ। ত্বকের শুষ্কতা থেকে বাঁচতে কমলার খোসা ও টক দইপ্যাকহিসাবে ব্যবহার করুন। টক দই এক টেবিল চামচ কমলালেবুর খোসার গুঁড়োরসঙ্গে মিশিয়ে গোটা মুখে লাগান। ২০ মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।