গুড় স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সাধারণত যে কোনো রোগ থেকে সুরক্ষা করতে গুড় শরীরকে শক্তি জোগায়। গুড় আসলে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ। এমনকি জিংক, তামা, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিনের ট্রেস রয়েছে। এছাড়াও গুড়ে ভিটামিন বি, উদ্ভিদ প্রোটিন, ফাইটোকেমিক্যালস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
আসুন তাহলে জেনে নিন শীতে গুড়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-
সর্দি-কাশি দূর করতেঃ শীতে নিয়মিত গুড় খাওয়ার ফলে সর্দি-কাশি সেরে যায়। সর্দি হলে একটু গুড় খেয়ে দেখুন। স্বস্তি পাবেন।
রক্ত পরিষ্কারঃ গুড় শরীরের লিভার থেকে টক্সিন বের করে দেয়। যার ফলে রক্ত পরিষ্কার থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ গুড় খাওয়ার ফলে রক্ত পরিষ্কার থাকে এবং কোষ্ঠ সাফ থাকে। এজন্য শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও গুড় খাওয়ার ফলে কফ, গলাব্যথা, ফোলা বা খুসখুস দূর হয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ গুড়ে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম রয়েছে। এসব উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে।
শরীরে উত্তাপ সৃষ্টিঃ চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসাবে গুড়কে নেওয়া হয় এবং শীতে তা প্রচুর উপকারী। শীতে গুড় খাওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো- শরীরে উত্তাপ সৃষ্টি করে, যা দেহের তাপমাত্রা বজায় রাখে।
রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধেঃ গুড়ে আয়রন এবং ফসফরাস জাতীয় খনিজ রয়েছে। যা দেহে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা করে।
ক্লান্তি নিরোধকঃ গুড় রক্ত পরিষ্কার করে, শ্বাসকষ্ট কমিয়ে, মেদ গলিয়ে শরীরকে ঝরঝরে রাখে। ফলে, কর্মক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমনই ক্লান্তিও কমে।
শ্বাসকষ্ট কমায়ঃ গুড় যেহেতু শরীর ঠাণ্ডা রাখে, সেহেতু আপনা থেকেই শ্বাসকষ্টে স্বস্তি মেলে। অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিসের মতো অসুখে রোজ গুড় খেলে উপকার পাওয়া যায়।
হজমশক্তি বাড়াতেঃ গুড় হজমশক্তি বাড়ায়। কারণ এটি পাকস্থলী উদ্দীপিত করে এবং হজম এনজাইমগুলোর মুক্তিতে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য বা অন্য হজমজনিত সমস্যায় গুড় খুবই উপকারী।