শীত কালে অ্যাস্থমা, বাতের সমস্যা বাড়ার মতোই বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পারদ নামতে থাকার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। তাই গরমকালের তুলনায় শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেড়ে যায় বলে জানাচ্ছেন সুইডেনের লান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
এই সমীক্ষার মুখ্য গবেষক মোমন এ মহম্মদ জানান, তাপমাত্রা যখন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকে তখন হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার যে ঝুঁকি, তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে গেলে সেই ঝুঁকি চার গুন বেড়ে যায়।
আবার হাওয়ার গতিবেগ, আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়তে থাকলেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। প্রতি মরসুমেই তাই কম, বেশি বাড়তে–কমতে থাকা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। তাই গরম কালের তুলনায় বর্ষাকালে হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে এই ঝুঁকি সবচেয়ে বাড়ে শীত কালে।
শীতের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শরীরের রক্তনালী সঙ্কুচিত হয়। যা ত্বকের তাপমাত্রা কমিয়ে ধমনীতে রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে কাঁপুনি, মেটাবলিক রেট বেড়ে যাওয়া, এমনকী হার্ট অ্যাটাকের সমস্যাও হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
মহম্মদ বলেন, ‘‘বেশির ভাগ সুস্থ মানুষই এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন, সহ্যও করতে পারেন। কিন্তু যাদের করোনারি আর্টারিতে কোলেস্টেরল বা ফ্যাট জমার প্রবণতা থাকে তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায় এই সময়।
শীতকালে শ্বাসনালীর ইনফেকশন ও ইনফ্লুয়েঞ্জাও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। আবার এই সময় ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শরীরচর্চা ও পরিশ্রমও কম হয়। যা প্রভাবেও বেড়ে যায় হৃদরোগের সম্ভাবনা।’’
মোট ২ লক্ষ ৮০ হাজার রোগীকে নিয়ে করা এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে বার্সেলোনার ইউরোপীয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি কংগ্রেসে।