আজ (বৃহস্পতিবার) কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ অনুবিভাগের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত সচিব আশ্রাফ উদ্দিন আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, শুক্রবার বিকাল ৩টায় ফার্মগেইটের কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক মেলার উদ্বোধন করবেন। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত সচিব আশ্রাফ উদ্দিন বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪০৯ দশমিক ১৪ লাখ মেট্রিক টন দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদিত হওয়ায় দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২০ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে মানসম্মত বীজের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
“ফসলের উৎপাদনশীলতার ওপর নির্ভর করে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও খাদ্য নিরাপত্তা। খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য প্রয়োজন ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, যার অন্যতম নিয়ামক শক্তি হল মানসম্মত বীজ।
“বর্তমানে দেশে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ২৬ শতাংশ মানসম্মত বীজ চাষী পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়। ধান ও গমের ক্ষেত্রে মানসম্মত বীজের সরবরাহের হার যথাক্রমে ৫৩ দশমিক ৭২ শতাংশ ও ৬০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।”
এসডিজি-২ অর্জনের জন্য ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাতের মানসম্মত বীজের সরবরাহ ২০২০-২১ সালে চার লাখ চার হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন, ২০২৪-২৫ সালে পাঁচ লাখ ৯০ হাজার ৮৬০ মেট্রিক টন এবং ২০২৯-৩০ সালে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টনে উন্নীত করা প্রয়োজন বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব আশ্রাফ।
তিনি বলেন, সরকারের প্রচেষ্টায় গত দশ বছরে ধান, গম, পাট, ভুট্টা, আলু, সবজি, তেল ও মসলাসহ বিভিন্ন ফসলের গুণগত মানসম্মত বীজ সরবরাহ দেড় গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
“২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিভিন্ন ফসলের গুণগত মানসম্মত বীজ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৯৯ হাজার ৮৭৪ মেট্রিক টন এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১২ লাখ ৫২ হাজার মেট্রিক টন প্রয়োজনের বিপরীতে উৎপাদিত হয় তিন লাখ ২৯ হাজার ৯২২ মেট্রিক টন।”
বাংলাদেশে এসডিজি-২ অর্জনের জন্য ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাতের মানসম্মত বীজের সরবরাহ ২০২৯-২০৩০ সালে সাত লাখ ৭৮ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টনে উন্নীত করা প্রয়োজন বলেও তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত সচিব।
তিনি বলেন, “বীজ মেলা উপলক্ষে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাষী পর্যায়ে সরবরাহকৃত প্রতিটি বীজ যাতে গুণগত মানসম্পন্ন হয় এবং বীজের দাম সাধারণ চাষীদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাই।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কৌলিতাত্ত্বিক বিশুদ্ধতা, মিশ্রণ মুক্ততা, রোগ ও কীটপতঙ্গ মুক্ততা, অংকুরোদগম ক্ষমতা, বীজের আর্দ্রতা ও বীজের আকার-আকৃতি দেখে ভালো বীজ চিহ্নিত করা যায়।