সোমবার ৪৪–এ পা দিলেন ‘ক্রিকেটার সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। অগিণত ভক্তের শুভেচ্ছাবার্তা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে তাঁর বান্দ্রার বাড়িতে। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বহু ক্রিকেট তারকা। যেমন, অনিল কুম্বলে টুইটারে ‘লিটল মাস্টার’-এর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে বলেন, “আমার দেখা বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রেরণাদায়ক স্পোর্টসম্যান সচিন। আশা করি আগামী বছরগুলো যেন আরও ভাল কাটে তাঁর।” বীরেন্দ্র শেবাগ লেখেন, সচিন এমন এক জন মানুষ যিনি ভারতের সময়কে থামিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
শেবাগ বলেন, ৫ ফুট ৫ ইঞ্চির এই মানুষটি যখন ব্যাট হাতে তুলে নিতেন, গোটা ভারত যেন থমকে যেত। ২২ গজ থেকে অবসর নিয়েছেন ঠিকই কিন্তু ব্যক্তি সচিনও যেন সমান ভাবে মোহিত করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। ১৯৭৩–এর আজকের দিনে মুম্বইয়ে জন্ম মাস্টার ব্লাস্টার–এর। ক্রিকেটের এক জন কিংবদন্তি হলেও সচিন কিন্তু ছোটবেলাতে টেনিস খেলা বেশি পছন্দ করতেন। দাদা অজিত তেন্ডুলকরই হাতে ধরে ক্রিকেটে নিয়ে আসেন সচিনকে। ১১ বছর বয়সেই হাতে তুলে নিয়েছিলেন ব্যাট। তার পরের ঘটনা ইতিহাস। বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের মধ্যে এক জন আজ সেই ছোট্ট ছেলেটি।
দেশের হয়ে ব্যাট হাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ক্রিকেট সফর শুরু। সেই থেকে একের পর এক রেকর্ড যেন সচিনকে ক্রিকেটীয় পর্বতের শিখরে পৌঁছে দেয়। তিনিই বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার যিনি ১০০টি সেঞ্চুরি করেছেন। ওয়ান ডে–তে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি এবং টেস্ট ও এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩০ হাজার রান করেছেন সচিন। পেয়েছেন ভারতরত্ন, রাজীব গাঁধী খেল রত্ন, অর্জুন পুরস্কার এবং ভারত রত্ন। ২০১২ সালে ওয়ানডে থেকে অবসর নেন। ২০১৩ সালে অবসর নেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে। ২২ গজ থেকে অবসর নিলেও ১৯৮৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত যে ভাবে ক্রিকেট দুনিয়ায় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন, যে ভাবে দর্শকদের আনন্দ দিয়েছেন তা কোনও দিন ভোলার নয়। খেলা ছা়ড়ার পর রাজনীতিতেও নাম লিখিয়েছেন। তিনি রাজ্যসভার এক জন সাংসদ। সচিন তাঁর কেরিয়ারের শুরুতে যেমন মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন, অবসরের পরেও সেই ভালবাসা আর সম্মানে এতটুকুও ছেদ পড়েনি।
সচিন জন্মদিন কী ভাবে পালন করবেন সে বিষয়ে স্পষ্ট জানা না গেলেও তবে তিনি যে ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স–এর খেলা দেখতে আসবেন তা জানা গিয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স–এর খেলোয়াড়রাও মুখিয়ে রয়েছেন সচিনের জন্মদিন পালনের জন্য। সূত্রের খবর, পুণের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতেই সচিনকে জন্মদিনের উপহার দিতে চান ক্রিকেটাররা।