শেরপুরে বিপুল পরিমান রাসায়নিক উদ্ধারের ঘটনায় পলাতক অভিযুক্ত ফয়েজ উদ্দিনকে আজ শনিবার শেরপুর সদর থেকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। গতকাল এ ঘটনার অপর অভিযুক্ত দোকান মালিক মিনারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের গোয়েন্দা শাখা এবং বগুড়া জেলা পুলিশের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শেরপুরের নকলা উপজেলার একটি দোকানে গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে শেরপুর জেলা পুলিশ ১৮ কন্টেইনার বোমা তৈরির তরল রাসায়নিক পদার্থ উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত রাসায়নিকের মধ্যে রয়েছে, নাইট্রিক এসিড ২০০ কেজি, ড্রাইক্লোরোমিথেন ও সালফিউরিক এসিড ৩৫ কেজি, ক্লোরোফর্ম ও ডাইক্লোরোমিথেন ১০০ কেজি, সালফিউরিক এসিড ও টেট্রোহাইড্রোফুরান ৬৫ কেজি, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ১৬০ কেজি এবং ক্লোরোফরম ৩৫ কেজি। সিআইডির একটি বিশেষজ্ঞ দল উদ্ধরকৃত রাসায়নিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বর্তমানে শেরপুর রয়েছে।
কোন জঙ্গি গোষ্ঠী শেরপুরের বিভিন্ন মন্দিরে নাশকতামূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর জন্য ওই দোকানে এ রাসায়নিক পদার্থ মজুত করেছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। পুলিশের তাৎক্ষণিক অভিযানের কারণে জঙ্গিদের বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
জানা যায়, দোকানটির মালিক নকলা থানার মিনারা বেগম। তিনি দোকানটি একই থানার চরমধুয়া গ্রামের মোঃ ফয়েজ উদ্দিনকে ভাড়া দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে নকলা থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ গুরুত্বের সাথে ঘটনাটি তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে দুই আসামি গ্রেফতার হয়েছে। অপর আসামি গ্রেফতার এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের আটকের চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।