সমস্ত জল্পনা-কল্পনার সমাপ্তি ঘটিয়ে মাশরাফি জানিয়ে দিলেন ইংল্যান্ড আসরই হতে যাচ্ছে তার শেষ বিশ্বকাপ। আগামী ৩০ মে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসে শুরু হতে যাচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। মেগা এ ইভেন্টের আগে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ১ মে দেশ ছাড়বে টাইগাররা। আয়ারল্যান্ড সফর ও বিশ্বকাপে দলের লক্ষ্য, পরিকল্পনাসহ সার্বিক বিষয়ে আজ মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এবারের বিশ্বকাপের দল বেশ ভারসাম্যপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। তাই ভালো করার ব্যাপারে বেশ আশাবাদি ম্যাশ। তবে সেমিফাইনালে পৌঁছানোটা অনেক বড় অর্জন হবে বলে জানান মাশরাফি। ইংল্যান্ড আসরই শেষ বিশ্বকাপ হলেও শেষ ওয়ানডে নয়- এমনটিও স্পস্ট করলেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক মাশরাফি।
১৯৯৯ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নামে বাংলাদেশ। প্রথম বিশ্বকাপেই চমক দেখায় টাইগাররা। পাকিস্তানের মত বিশ্বসেরা দলকে হারিয়ে দেয় তারা। এরপর ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১১ সালের বিশ্বকাপেও নিেেজদের সেরাটা দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে গ্রুপ পর্ব বা সুপার এইট থেকেই বিদায় নিতে হয় তাদের। তবে গেল বিশ্বকাপেই সবচেয়ে বেশি চমক দেখায় মাশরাফির নেতৃত্বাধীন দলটি। কোয়ার্টারফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মত আসরে এখন পর্যন্ত এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন।
এবার সেই অর্জনকে আরও বড় করার স্বপ্ন টাইগারদের। সেমিফাইনালে খেলতে পারলে তা বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। তবে কাজটি কঠিন বলে মনে করেন তিনি, ‘এই মূর্হুতে মনে হচ্ছে, আমাদের সেমিফাইনালে যাওয়াটা খুব বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সেমিফাইনালে যদি যেতে পারি তবে সেটি অনেক বড় অর্জন হবে। কারন এবারের ফরম্যাট ১৯৯২ বিশ্বকাপের মত,যা অনেক কঠিন। কিন্তু সেমিফাইনালে যাওয়া অনেক বড় অর্জন।
আমরা কয়েকবার সেমিফাইনাল বা কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছি। কিন্তু সেখানে আমরা ঐ চাপটা নিতে পারিনি। তাই সবার আগে চেস্টা বরবো সেমিঢাইনালে পৌঁছতে। সেটা পারলে আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন হবে। তারপর আসলে তো, একই কথা নির্দিস্ট দিনটিতে ভালো খেলতে হবে ভালো কিছুর জন্য। কিন্তু তা অনেক কঠিন।’