স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে তথা শোষণ, বৈষম্য ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অবিচল। রোববার নিজ নির্বাচনী এলাকা পীরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পীরগঞ্জ উপজেলা শাখা আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস’ এর আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যসহ অন্যান্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) তানজুর ইমাম মো. সাইফুল নেওয়াজ শামীম এর সভাপতিত্বে পৌর মেয়র আবু সালেহ মো. তাজিমুল ইসলাম শামীম এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাফিয়া খানম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল, জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রেজাউল করীম রাজু, পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মনোয়ার হোসেন মানু, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল। রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ এবং পীরগঞ্জ উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের নেতা, ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন আপোষহীন, অন্যায়ের কাছে কখনই মাথা নত করেননি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। জনগণের সমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে এবং ভবিষ্যত রাষ্ট্র বিনির্মানে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান স্পিকার।