ম্যাচ ৫০ ওভারের। কিন্তু দুই দল মিলেও খেলা হয়নি ৫০ ওভারের। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটিতে লড়াইয়ের ছিঁটেফোটাও লক্ষ্য করা যায়নি। একক আধিপত্য বিস্তার করে লঙ্কানদের ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে পাকিস্তান। এর ফলে লঙ্কানদের ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের ‘লজ্জা’ উপহার দেয় সরফরাজ আহমেদের দল। অবশ্য ওয়ানডের আগে টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানকেও ২-০ ব্যবধানের হোয়াইটওয়াশের ‘তেতো’ স্বাদ উপহার দেয় শ্রীলঙ্কা।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬.২ ওভারে ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০.২ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ইমাম-উল-হককে নিয়ে ৮৪ রানের দারুণ জুটি গড়ে পাকিস্তানের বড় জয়কে সময়ের ব্যাপারে পরিণত করেন ফখর জামান। ফখর আউট হওয়ার পর ফাহিম আশরাফকে নিয়ে ২১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন ইনজামাম-উল-হকের ভাতিজা ইমাম।
ফখর ৪৭ বলে সাতটি চারের সাহায্যে ৪৮ রান করে আউট হন। ইমাম ৬৪ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গী ফাহিম করেন ১১ বলে ৫ রান। পাকিস্তানের একমাত্র উইকেটটি নেন জেফ্রে ভান্দারসে।
এর আগে উসমান খানের বোলিং তোপে পড়ে ২০ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লঙ্কানরা; ১০০ রানের কোটা পার হতে না হতেই গুটিয়ে যায়।
ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মাঝে শ্রীলঙ্কার হয়ে থিসারা পেরেরা ২৫, লাহিরু থিরিমান্নে ১৯, দুশমন্ত চামিরা এবং সেকুগে প্রসন্ন করেন ১৬ রান। উপুল থারাঙ্গা (৮), সাদেরা সামারাবিক্রম (০), দিনেশ চান্দিমাল (০), নিরোশান দিকভেলা (০), মিলিন্দা সিরিবর্ধনে (৬)-সবার নামের পাশেই মোবাইলের ডিজিট।বিধ্বংসী এক স্পেলে ৫ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে একাই কাঁপিয়ে নেন উসমান খান। ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা এই বাঁহাতি পেসার ৩৪ রানে নেন ৫ উইকেট। এছাড়া শাদাব খান ও হাসান আলি নেন দুটি করে উইকেট।
মাত্র ২১ বলেই ৫ উইকেট তুলে নেন উসমান- আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে বলের হিসেবে এটা তৃতীয় দ্রুততম ৫ উইকেট নেয়ার কীর্তি। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি পেসার চামিন্দা ভাস ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৬ বলে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। অন্যদিকে ২০১৩ সালে কানাডার বিপক্ষে ফন ডার গাটেন ২০ রানে নেন ৫ উইকেট।
ওয়ানডে সিরিজের হতাশা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ২৬ অক্টোবর সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। পরের দিনই মাঠে গড়াবে দ্বিতীয় ম্যাচ। সিরিজের শেষ ম্যাচটি পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।