নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর মূল শহর থেকে ত্রিভুবন বিমানবন্দরটি প্রায় প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে। গত সোমবার এই বিমানবন্দরেই বিধ্বস্ত হয়েছে ইউএস-বাংলার বিমানটি। একের পর এক বিমান দুর্ঘটনার কারণে বিমানবন্দরটির নিরাপত্তা নিয়ে অনেক সময়ই প্রশ্ন ওঠে। আবার বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই বিমানবন্দরটির সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
নেপালের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, ৬ বছর আগে ন্যাশনাল প্রাইড নামে একটি প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দরের পরিসর বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানির অবহেলার কারণে ওই কাজ এখনও শেষ হয়নি। স্প্যানিশ কোম্পানি সানহাআস কন্সট্রাক্টরের সঙ্গে করা ওই কাজের চুক্তিটি তিনমাস আগে বাতিল করে নেপাল সরকার। কোম্পানিটি ৬ বছরে মাত্র ২০ শতাংশ কাজ শেষ করতে পেরেছিল। কিন্তু এসব তথ্য এতদিন প্রকাশ্যে আসেনি।
এখন নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা বন্দরের চারটি অংশে সংস্কারের কাজ করবে। এজন্য আরেকটি কোম্পানির সঙ্গে কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা।
বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সানজিভ গৌতম বলেন, চীনা একটা কোম্পানি তিন মিটার দৈর্ঘ্য ট্যানেল, টার্মিনাল ভবন, টার্মিনাল ভবনের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করছে। তিনি আরও বলেছেন ‘এনক্লাসি ভবন এবং টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে’। ২০১৯ সালের মধ্যে এসব কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানান।
২০১২ সালে ত্রিভুবন বিমানবন্দরের পরিসর বাড়ানোর জন্য যে প্রকল্প নেওয়া হয় সেখানে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ৬০০ কোটি নেপালি রুপি সহায়তা করেছে। মূল পরিকল্পনায় বিমান পার্ক করার জন্য আরও ১৩টি স্থান বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিমানবন্দরটি চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৭০টির বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৬৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। বিমানের পাশাপাশি সেখানে হেলিকপ্টারও বিধ্বস্ত হয়েছে। আর সর্বশেষ দুর্ঘটনার শিকার হলো ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি।