বর্তমানে নিউক্লিয়ার পরিবারে কর্মব্যস্ত বাবা-মায়েদের পক্ষে সন্তানদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। আর তার ফলেই বেড়ে চলে দূরত্ব, তৈরি হয় বিরাট ‘জেনারেশন গ্যাপ’। তাই মনোবিদদের পরামর্শ হল, অভিভাবক হওয়ার চেয়ে তাদের বন্ধু হওয়াটা জরুরি। নাগরিক জীবনে সকলেই খুব ব্যস্ত। তাই যতটুকু সময় পাওয়া যায়, সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মতো মেলামেশা করা জরুরি। আসুন জেনে নেওয়া যাক সন্তানের মন বুঝতে তার বন্ধু হয়ে উঠবেন কী করে-
(Ö) প্রতিদিন কিছুটা সময় সন্তানকে দিন। সন্তানের সারা দিনের খুঁটিনাটি, কোথায় গেল, কী করল, কী ভাবে কাটল— এ সব শুনুন ওর থেকে। নিজের সারাদিনের অভিজ্ঞতাও সন্তানের সঙ্গে ভাগ করে নিন।
(Ö) সন্তানের কী ভাল লাগে, ওর পছন্দ, শখ, স্বপ্নগুলি জানার চেষ্টা করুন। ওর যেন মনে হয়, এগুলি আপনার কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের পছন্দের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাস্তব প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ওকে জানান।
(Ö) সন্তানের প্রিয় বন্ধু কে, কাদের সঙ্গে ও মেলামেশা করে, কী বিষয়ে ওদের মধ্যে আলোচনা হয় তা গল্পের ছলে জানার চেষ্টা করুন।
(Ö) ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ বা ডিনার— আপনার সুবিধা মতো সন্তানের সঙ্গে সময় ভাগ করে নিন। চেষ্টা করুন, খাওয়ার সময়টুকু সন্তানকে সঙ্গ দিতে। কাজের চাপে সারা দিনে সম্ভব না হলেও দিনের যে কোনও একটা নির্দিষ্ট বাড়ির সকলে একসঙ্গে বসে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
(Ö) সপ্তাহে বা মাসে অন্তত একবার সন্তানকে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যান। সারাটা দিন ওর সঙ্গে কাটান। ওর ছোট ছোট প্রশ্নগুলির উত্তর দিন সহজ সরল ব্যাখ্যায়।
(Ö) সন্তানের কোনও আবদার বা বায়না মেটানোর জন্য পাল্টা কোনও শর্ত চাপিয়ে দেবেন না। এতে ভবিষ্যতে সন্তানও আপনাদের উপর নানা রকম শর্ত চাপিয়ে নিজেদের দাবি বা জেদ পূরণ করতে চাইবে।
(Ö) সন্তানকে সময় দেওয়ার সময় কোনও ভাবেই যেন টেলিভিশন বা ফোন ওই সময়ের অংশ না হয়ে ওঠে। সন্তানকে সময় দিতে না পারলেও ওর হাতে ভুলেও বিকল্প হিসাবে টিভির রিমোর্ট বা স্মার্টফোন তুলে দেবেন না। এর ফলে সন্তানের ক্ষতিই হবে।