ডিএমপি নিউজঃ যেসব বাসা-বাড়িতে বয়স্ক মহিলা-পুরুষ ও শিশু রয়েছে যারা নিজেরা কিছু করতে হলে অন্যের সাহায্য নিয়ে করেন এমন সফট টার্গেটকে বেছে নিয়ে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ নেয় এরা। কাজের ফাঁকে সুযোগ বুঝে উচ্চমাত্রায় ঘুমের ঔষধ খাবারের সাথে মিশিয়ে অচেতন করে সর্বস্ব লুট করায় ছিল তাদের পেশা। এমন এক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বিউটি বেগম ওরফে ময়না ওরফে জান্নাতের মা (৩৩), খোরশেদ আলম ওরফে মোরশেদ (৩৫), আসাদুল ইসলাম (৩৬), রিপনা বেগম (৩৫) ও ফারুক আহম্মেদ (৬২)।
১৪ মার্চ ২০২০ তারিখ বিভিন্ন সময় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ইকোরিয়া বেপারীপাড়া বাঁশপট্টির এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের নিকট হতে একজোড়া স্বর্ণের চুড়ি, ১টি লকেটসহ স্বর্ণের চেইন, একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ১টি স্বর্ণের গলার হার, ১টি স্বর্ণের নাক ফুল, চেতনানাশক ঔষধ ও ৯১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ পিপিএম।
চুরির ঘটনা সম্পর্কে ডিসি ওয়ারী বলেন, ১০ মার্চ ২০২০ গেন্ডারিয়া থানার ২৮/বি সতীশ সরকার রোডের একটি বাসার তৃতীয় তলায় গৃহকর্মী বাসার লোকদের অচেতন করে স্বর্ণ ও টাকা লুট করে নিয়ে যাওযার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গেন্ডারিয়া থানায় মামলা হলে তদন্ত করে পুলিশ। তদন্তকালে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত বিউটি বেগম ওরফে ময়না ওরফে জান্নাতের মা ৯ মার্চ বাসার দারোয়ানের মাধ্যমে ঐ বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ পায়। নিয়োগের পরের দিন খাবারের সাথে উচ্চমাত্রায় চেতনানাশক ট্যাবলেট মিশিয়ে বাড়ির তিনজনকে অচেতন করে। এই সুযোগে বাসার আলমারি থেকে ২৫ ভরি স্বর্ণ ও ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, মালামাল লুটের পরবর্তী সময়ে মামলার বাদী অসুস্থদের উদ্ধার করে দ্রুত আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করান।
ডিসি ওয়ারী আরো বলেন, অজ্ঞাতনামা কাজের বুয়া জান্নাতের মা পরিচয় দানকারীর ছবি সংগ্রহ করে অনুসন্ধান করে তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ।