সমগ্র বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। এ আইন কঠোরভাবে অনুসরণ করার জন্য অনুৃরোধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল, ২০২০) মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুৃল কালাম আজাদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী আকারে বিস্তার লাভ করায় লক্ষ লক্ষ লোক আক্রান্ত হয়েছে ও লক্ষাধিক লোক মৃত্যুবরণ করেছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এ ভাইরাসের সংক্রামণ ঘটেছে। হাঁচি, কাশি ও পরস্পর মেলামেশার কারণে এ রোগের বিস্তার ঘটে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে এ রোগের কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী এ রোগের একমাত্র প্রতিষেধক হলো পরস্পরকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করা। যেহেতু জনসাধারণের একে অপরের সঙ্গে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা ছাড়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। সেহেতু সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ক্ষমতাবলে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রামণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হলো।
সংক্রামিত এলাকার জনসাধারণকে নির্দেশনা সমূহ কঠোরভাবে অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
১. করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রশমনে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। অতীব জরুরি প্রয়োজন ব্যতিত ঘরের বাইরের বের হওয়া যাবে না।
২. এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হলো।
৩. সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না।
এ আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮–এর ১১ (১) ধারার ক্ষমতাবলে সারা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিধিনিষেধ ভঙ্গকারীদের এই আইনের অধীনেই বিচারের আওতায় আনা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিয়ে আইনের সংশ্লিষ্ট অন্য ধারাগুলো প্রয়োগ করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবে।