করদাতাদের মাসিক রিটার্ন দাখিল এবং আমদানি-রফতানিসহ অন্যান্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার লক্ষ্যে অনলাইনে ভ্যাট (মূসক) নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধনের সময় আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
গতকাল ৩১ জুলাই ছিল নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধনের শেষ সময়। বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন,করদাতাদের সুবিধার্থে অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধনের সময় ১৪ দিন বাড়ানো হয়েছে। আশা করি এই সময়ের মধ্যে সকল করদাতা অনলাইনে নিবন্ধন শেষ করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে রাজস্ব প্রশাসন যেসব করদাতা ইতোপূর্বে অনলাইনে ৯ ডিজিটের মূসক নিবন্ধন করেছেন তাদেরকে নতুন করে ‘মূসক-২.১ ফরম’ পূরণ করে নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্যসমূহ হালনাগাদ করতে বলেছে। এছাড়া যে সকল করদাতা নতুন পদ্ধতিতে মূসক নিবন্ধন গ্রহণ করেননি অর্থাৎ এখনও ১১ ডিজিটের নিবন্ধন ব্যবহার করছেন, তাদেরকে অবিলম্বে অনলাইনে নিবন্ধন গ্রহণ করতে বলেছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যে সকল করদাতা ৭ জুলাই পর্যন্ত অনলাইনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন,সিস্টেম আপগ্রেড করার কারণে সেটি বন্ধ থাকায় তাদের নিবন্ধনের আবেদন সিস্টেমে গৃহীত হয়নি। তাদেরকে পুনরায় অনলাইনে নিবন্ধনের অনুরোধ করেছে এনবিআর।
১ জুলাই থেকে ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। নতুন আইনের প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক। ১৬১টি পণ্য ও সেবা উৎপাদন এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ভ্যাট নিবন্ধন নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে এনবিআর।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ অনলাইনে বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (ই-বিআইন) বা ভ্যাট নিবন্ধন শুরু হয়। চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোনো প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়াই ভ্যাট নিবন্ধন প্রদান করে এনবিঅঅর। কিন্তু অনেকেই ভ্যাট নিবন্ধন নেয়ার ক্ষেত্রে ঠিকানা,ব্যাংক হিসাব,রফতানি নিবন্ধন সার্টিফিকেট,ফোন নাম্বার ও ই-মেইল,ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট প্ল্যান্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রে ভূয়া তথ্য দেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় যাচাই-বাছাই ছাড়া অনলাইনে নিবন্ধন বন্ধ করা হয়। করদাতাদের দেয়া তথ্য যাচাই শেষে কেবলমাত্র এখন নিবন্ধন দেয়া হচ্ছে।
ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের হিসাব অনুযায়ী,গত ৩০ জুলাই পর্যন্ত এক লাখ ৭১ হাজার ৫২৭ জন করদাতা নিবন্ধন ও পুন:নিবন্ধন করেছেন। খবর বাসস।