ডিএমপি নিউজ: আজ শনিবার (২২ জুন) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিজ্ঞ আইনজীবীদের নিয়ে সিটিটিসি’র আয়োজনে ’সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে আইজীবীদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সেমিনারের উদ্বোধন করেন জনাব ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট ও ভাইস চেয়ারম্যান বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
কর্মশালার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) তার বক্তব্য তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন- বিজ্ঞ আইনজীবীরা আদালতের বাইরে এই সমাজের মানুষ। কেউ পিতা, কেউ ভাই, কেউ বোন বা কারও আত্মীয়স্বজন। এই সমাজে যেহেতু আমরা বসবাস করি তাই আদালতের বাইরেও আমাদের প্রত্যেককে এই সহিংস উগ্রবাদ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। সন্ত্রাসবাদের সাথে সুনির্দিষ্টভাবে কোন ধর্ম, জাতি, গোষ্ঠী বা দেশকে সম্পৃক্ত করা যায় না। তারপরও দুঃখজনকভাবে হলেও সত্য সাম্প্রতিক শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের হলি আর্টিসানের হামলাগুলো কিন্তু ধর্মের আবরণে ধর্মকে ব্যবহার করে করা হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বে কিছু সংখ্যক মোড়ল যারা সাড়া বিশ্বে সহিংস উগ্রবাদকে টিকিয়ে রাখার জন্য কোথাও ধর্ম, কোথাও বর্ণবাদ, কোথাও বা আঞ্চলিকতাকে পুজি করে। এই সন্ত্রাসবাদের পিছনে গ্লোবাল অর্থনীতি আছে। আমাদের দেশ উন্নয়নশীল দেশ এবং খুব দ্রুত সময়ে আমরা উন্নতি করছি, অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এগিয়ে যাওয়াটা আসলে বিশ্বের অনেকের পছন্দ নয়। সেই কারণে বাংলাদেশকে ঘিরেও এই ধরনের সহিংস উগ্রবাদের দোহাই দিয়ে ঘটনা ঘটানোর একটা প্রবণতা আমরা দেখেছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ। সবাই মিলে এই সন্ত্রাসবাদ রুখতে পারলে আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারব। জঙ্গি বা সন্ত্রাসী একদিনে হয় না। এটা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে হয়। তাই সহিংস উগ্রবাদ রুখতে আমরা বিভিন্নভাবে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। আমরা এই আয়োজন সারা বাংলাদেশে করছি।
সবশেষে উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে উক্ত কর্মশালার সমাপ্তি হয়।