জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সাইবার অপরাধ জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে।
সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, দেশের ব্যাংকিং সেক্টর থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে ডিজিটালের উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
তিনি আজ মঙ্গলবার রাজধানীর খিলক্ষেত হোটেল লা মেরিডিয়ানে ” ডিজিটাল বাংলাদেশ ফোকাসিং অন সাইবার ক্রাইম সেফ ইন্টারনেট অ্যান্ড ব্রডব্র্যান্ড” শীর্ষক দু’দিনব্যাপী সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম (এমপি), বিটিআরসি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, সিপিএ মহাসচিব শোলা টেইলর,ডাকা ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কমনওয়েলথ টেলিকমিউনিকেশন অর্গানাইজেশন (সিটিও) উদ্যোগে ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সহযোগিতায় সাইবার অপরাধ বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও এর ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকায় দু’দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে টেলি কমিউনিকেশন ও সাইবার সিকিউরিটি আরও জোরদার করতে সরকার কাজ করে যাচেছ। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও নিরলস ভাবে কাজ করছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, জঙ্গীবাদসহ আপত্তিকর কনটেন্ট প্রদানকারী শনাক্ত করার জন্য চলতি মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকে বসা হবে।
তিনি বলেন, ২০০০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সাড়ে ১৬ বছরে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ২৪ হাজার ৫৯৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেছে সরকার। ২০১৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে সক্রিয় ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৬কোটি ৬৭ লাখ। জনগনের নিকট সুলভমূল্যে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচেছ।