দক্ষিণ মুম্বাইয়ে আরব সাগরের তীরে অবস্থিত ঈশা-আনন্দের চোখ ধাঁধানো বাংলো। সেই অন্দরমহল যে আর পাঁচটা সাধারণ বাড়ির মতো হবে না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেমন দেখতে সেই স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ?
প্রায় ৫০ হাজার বর্গফুটে গড়ে ওঠা এই বাংলোটি ছয় বছর আগে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার–এর থেকে কিনে নেন পিরামলরা। বিয়ের উপহার স্বরূপ তা নিশাকে দেন আনন্দ। এর দাম প্রায় সাড়ে চারশো কোটি টাকা।
এই সাত মহলা বাড়িতে রয়েছে তিনটি বেসমেন্ট, রয়েছে অনেকগুলো খাওয়ার ঘর এবং বিশাল বিশাল হল ঘর। এ ছাড়াও রয়েছে চোখ ধাঁধানো এক বিশাল সুইমিং পুল। এই বাংলোর থিম হল হীরা। তাই থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই বাংলোতে রয়েছে আস্ত একটি হীরার ঘর। এ ছাড়াও রয়েছে বিশাল বিশাল শয়নকক্ষ।
এই বাংলোর প্রত্যেকটি তলায় পরিচারকদের জন্যও রয়েছে আলাদা ঘর। শুধুমাত্র গাড়ি পার্কিংয়ের জন্যই রয়েছে তিনটি তলা! শুধু কি তাই! বাড়ির সামনে রয়েছে সুসজ্জিত বাগান। হরেক গাছ তো বটেই, এই বাগানেও গোটা ২০ গাড়ি পার্ক করার ব্যবস্থা রয়েছে।
এই বাংলোতে এমন এক একটি ঘর আছে, যার উচ্চতা প্রায় ৩৬ ফুট। জানলা দিয়েই দেখা যায় আরব সাগরের নীল জলরাশি।
স্বপ্নের মতো সুন্দর এই প্রাসাদোপম বাড়ির নাম ‘গুলিতা’।
মাঝে মাঝেই নামজাদা বলি নায়ক-নায়িকারা আড্ডা জমান এখানে। বলিউডের সঙ্গে আম্বানী পরিবারের যোগাযোগ যে বেশ ভালোই, তার প্রমাণ মিলেছিল ঈশার বিয়ের সময়ও। বিগ-বি থেকে শুরু করে শাহরুখ খান প্রায় সবাই আমন্ত্রিত ছিলেন আনন্দ-ঈশার বিয়েতে।
গত বছর ১৪ ডিসেম্বর ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানীর একমাত্র কন্যা ঈশা গাঁটছড়া বাঁধেন পিরামল এন্টারপ্রাইজের প্রধান অজয় পিরামলের ছেলে আনন্দ পিরামলের সঙ্গে। বিশাল আয়োজনের ওয়েডিং দেখে চোখ কপালে উঠেছিল অনেকের।