ডিএমপি নিউজ : সাবেক এমপি ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ আব্দুর রহমানের এপিএস পরিচয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলো আবু হুরায়রা ওরফে খালিদ হাসান। গ্রেফতারের সময় তার হেফাজত থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপিদের নাম, মোবাইল নাম্বার ও বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত কাগজ ৪৮ পাতা, প্রেসিডিয়াম সদস্যের নাম সম্বলিত ১টি সীল, ২ পাতা ডিও লেটার, ৩টি মোবাইল ফোন ও ১০টি মেবাইল সিম উদ্ধার করা হয়।
গত শুক্রবার (২০ অক্টোবর ২০২৩) বগুড়া জেলার সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের ইনচার্জ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নিশাত রহমান মিথুন ডিএমপি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মামলার বাদী সৌরভ কুমার সাহা সাবেক এমপি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ আব্দুর রহমানের এপিএস হিসেবে নিযুক্ত আছেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২.৩০টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য আলতানা শিখা মোবাইলে ফোন করে বাদীকে জানান, সাবেক এমপি মোঃ আব্দুর রহমানের পিএ পরিচয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জানান এমপি সাহেব কথা বলবেন। অজ্ঞাত ব্যক্তি তাৎক্ষণিক আব্দুর রহমানের পরিচয় দিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার প্রলোভন দিয়ে টাকা দাবি করে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে এমপির ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মোবাইল ফোনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার কথা বলে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিকট থেকে টাকা আত্মসাৎ করে। এই ঘটনায় সৌরভ কুমার সাহা রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় মামলা রুজু করেন।
তিনি আরো বলেন, মামলাটি ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগে হস্তান্তর করা হলে ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান সনাক্ত করে গত শুক্রবার বগুড়া সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নিশাত রহমান মিথুন ডিএমপি নিউজকে আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত আবু হুরায়রা রংপুর বেতার কেন্দ্রে রেডিও মেকানিক হিসেবে চাকরি করতো। ৪-৫ বছর আগে আবু হুরায়রার বন্ধু মিঠুন প্রতারণা করে তার বিকাশ নম্বরে টাকা আনতো এবং সেই টাকার একটা ভাগ সেও পেতো। পরে সে নিজেই এই প্রতারণার কাজে জড়িয়ে পরে। সে ২০২০ সালে প্রতারণার জন্য গ্রেফতার হয়ে ৬ মাস কারাদন্ড ভোগ করে।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি মডেল থানায় আরো ৪টি মামলা আছে মর্মে জানান এই গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তা।