কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নিদাহাস টি-টোয়েন্টি সিরিজের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সাব্বির রহমানের হাফ সেঞ্চুরির উপর ভর করে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৬৬ রান।
৫০ বলে ৭৭ রান করেন সাব্বির। তার ইনিংসে ছিল ৪টি ছয় ও ৭টি চারের মার। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ ২১ ও তামিম ১৫ রান করেন। ভারতের হয়ে সর্ব্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন যুভেন্দ্র চাহাল।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৬৮ রানেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এদিন ওপেনিংয়ে নামেন তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বিদায় নেন লিটন । ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে টপএজ হয়ে সুরেশ রায়নার হাতে ধরা পড়ার আগে লিটন এক ছক্কায় ৯ বলে করেন ১১ রান। দলীয় ২৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরের ওভারেই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে দুর্দান্ত এক ক্যাচে শারদুল ঠাকুরের হাতে ধরা পড়েন তামিম ইকবাল। স্কোরবোর্ডে কোনো রান না উঠতেই ফেরেন তামিম। যুভেন্দ্র চাহালের বলে আউট হওয়ার আগে তামিম ১৩ বলে একটি বাউন্ডারিতে করেন ১৫ রান। একই ওভারে ব্যক্তিগত ১ রান করে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। ১১ বলেই বাংলাদেশ হারায় টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৪০/৩।
প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান। এগারোতম ওভারের প্রথম বলেই বিদায় নেন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। চাহালের বলে বিজয় শংকরের হাতে ধরা পড়ার আগে মুশফিক ১২ বলে করেন ৯ রান। দলীয় ৬৮ রানে বাংলাদেশ হারায় চতুর্থ উইকেট। ১৪ ওভারে আসে দলীয় শতক।
১৫তম ওভারে সিঙ্গেল রান নিতে সাব্বির-মাহমুদউল্লাহর ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন মাহমুদউল্লাহ। ১০৪ রানে বাংলাদেশ পঞ্চম উইকেট হারায়। বিদায়ের আগে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে দুটি চারে ২১ রান। সাব্বিরের সঙ্গে জুটি গড়েন ৩৬ রানের।
তিন জাতির কোনো টুর্নামেন্টের আরও একবার ফাইনাল খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। আজ ভারতকে হারাতে পারলেই শিরোপা জয়ের স্বাদ পাবে টাইগাররা।