ডিএমপি নিউজঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফেসবুক গ্রুপ ও পেইজে সার্টিফিকেট ও এনআইডি তৈরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আরো একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম- মোঃ ফয়সাল আহমেদ। এসময় তার হেফাজত হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ০২টি মোবাইল ফোন ও ৪টি সিম কার্ড এবং প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত ০৬টি ফেসবুক আইডি ও শতাধিক ফেসবুক গ্রুপ উদ্ধার করা হয়।
গত রবিবার (২ অক্টোবর ২০২২) ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার ডেন্ডাবর পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ই-ফ্রড টিম। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ৩টি মোবাইল, কম্পিউটার, মনিটর ও প্রিন্টার জব্দ করে সাইবার পুলিশ।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ই-ফ্রড টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার সুরঞ্জনা সাহা ডিএমপি নিউজকে জানান, নিয়মিত অনলাইন মনিটরিং করার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কয়েকটি ফেসবুক গ্রুপ এবং পেইজ পরিলক্ষিত হয়। যেসব পেইজে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, বিবিএ এবং এমবিএ সার্টিফিকেট প্রদান, বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্ট পরিবর্তন, ফেল করা পরীক্ষার্থীকে পাশ করিয়ে দেয়া, পলিটেকনিক্যাল কলেজের টিসি প্রদান, পছন্দমতো পলিটেকনিক্যাল কলেজে ভর্তি, সরকারী পলিটেকনিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ না হলে সরাসরি ভর্তির ব্যবস্থা করবে বলে লোভনীয় পোস্ট প্রদান করতো এবং আগ্রহীদের ইনবক্সে যোগাযোগ করতে বলত।
তিনি আরো বলেন, প্রতারক এই চক্রটি এক থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মসনদ তৈরি, সংশোধনের কাজ করে দিবে বলেও পোস্ট প্রদান করে থাকে। আগ্রহীরা প্রতারক চক্রের ফেসবুকের ইনবক্সে এবং হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে তারা অগ্রিম টাকা নিয়ে সেবা প্রত্যাশীদের ব্লক করে দিত। এই সংক্রান্তে ডিএমপির রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যে এই মামলায় নাঈম চৌধুরী ও আয়ান খান শান্ত নামে দুইজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতারক চক্রের অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
রমনা মডেল থানায় রুজুকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃত মোঃ ফয়সাল আহমেদকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।