টস জিতে বোলিং নেয়ার সিদ্ধান্ত নেই বাংলাদেশ। কিন্তু ৫ ওভারেই উদ্বোধনী জুটিতেই ৭৬ রান তুলে ফেলেন ক্যারিবীয় দুই ওপেনার এভিন লুইস আর শাই হোপ। বেশি ভয়ংকর ছিলেন লুইস। ১২ বলে ২৩ রান করা শাই হোপকে বোল্ড করে এই জুটিটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান।
তবে দারুণ বোলিংয়ে ভালোভাবেই ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। ৫ বল বাকি থাকতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৯০ রানে গুটিয়ে দিয়েছে তারা। অর্থাৎ সিরিজ জিততে হলে সাকিব আল হাসানের দলকে করতে হবে ১৯১ রান।
এরপর কেমো পলকে মাত্র ২ রানে বাউন্ডারিতে আরিফুল হকের ক্যাচ বানান মোস্তাফিজুর রহমান। লুইসের ব্যাটে চড়ে তবু দ্রুতগতিতে রান তুলে চলছিল সফরকারি দল। তাকে আটকানোর পথই খুঁজে পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। যে-ই বল করতে এসেছেন, তার উপরই চড়াও হয়েছেন লুইস।
তবে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের লাগাম অনেকটাই টেনে ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইনিংসের দশম ওভারে বল করতে এসে টানা দুই বলে দুই উইকেট নেন এই অফস্পিনার।
সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাটসম্যানটিকেই ফিরিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৬ বলে ৬ চার আর ৮ ছক্কায় ৮৯ রান করা এভিন লুইসকে বোল্ড করেন তিনি। পরের বলে এলবিডব্লিউ করে সিমরন হেটমেয়ারকেও (০) সাজঘরের পথ দেখান মাহমুদউল্লাহ। ১৬ বলে ১৯ করে রভম্যান পাওয়েল হন তার তৃতীয় শিকার।
এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট খুইয়েছে ক্যারিবীয়রা। ২৪ বলে ২টি করে চার ছক্কায় নিকোলাস পুরানের ২৯ রান ছাড়া পরে বলার মতো রান করতে পারেননি আর কেউ।
বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন মাহমুদউল্লাহই। ৩.২ ওভারে ১৮ রানে ৩টি উইকেট নেন তিনি। সাকিব আর মোস্তাফিজও ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন, তবে তারা রান খরচ করেছেন বেশি। সাকিব ৪ ওভারে দেন ৩৬ রান, মোস্তাফিজ ৩৩।