আজ মঙ্গলবার থেকে সুন্দরবনে আবারও ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতিতে বাঘ মনিটরিং বা পরিবীক্ষণ শুরু হচ্ছে। সুন্দরবনের খুলনা ও শরণখোলা রেঞ্জের দুটি বন্যপ্রাণি অভয়ারণ্যের ৪৭৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় করা হবে এই মনিটরিং।
বন বিভাগ জানিয়েছে, ২৩৯টি পয়েন্টের গাছ বা খুঁটির সাথে ৬৭০টি ক্যামেরা বসিয়ে এ বাঘ মনিটরিং করা হবে। এর আগে প্রথম দফায় ২০১৩ সালে সুন্দরবনের ২৬ শতাংশ এলাকায় ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতিতে বাঘ শুমারি হয়েছিল। ওই সময় বাঘের উপস্থিতি বেশি এমন এলাকা বেছে নেয়া হয়েছিল। এরপর দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে ক্যামেরা ট্রাপিং’র মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের কাজ হয়।
এবারে খুলনা ও শরণখোলা রেঞ্জে মনিটরিং শেষ হওয়ার পর তিনটি রেঞ্জের ফলাফল এক সঙ্গে আগামী বছরের (২০১৯ সাল) প্রথম দিকে প্রকাশ করা হবে। তখনই জানা যাবে সুন্দরবনে বাঘের প্রকৃত অবস্থান।
সর্বশেষ ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতিতে বাঘ গণনা করা হয়েছিল। ২০১৫ সালের মার্চে প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১০৬টি। তাই বর্তমানে সুন্দবনের বাঘের সংখ্যা, অবস্থান ও গতিপ্রকৃতি জানতেই এবারের মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ।
এবারে বাঘের সংখ্যা গণনার পাশাপাশি পর্যবেক্ষণ করা হবে বাঘ যেসব প্রাণি খায় সেগুলোর অবস্থাও। বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল ও ভুটানে একই সঙ্গে শুরু হচ্ছে বাঘ পরিবীক্ষণ। বাঘ রক্ষায় ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণের জন্য করা হচ্ছে এই মনিটরিং।
উল্লেখ্য, বন বিভাগের তথ্যানুযায়ী সুন্দরবনে ১৯৮২ সালে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৫৩টি, ২০০৪ সালে ৪৪০টি।