২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী সুন্দরবনে ১১৪টি বাঘ রয়েছে। ২০১৫ সালের বন বিভাগের জরিপে ১০৬টি বাঘের সংখ্যা পাওয়া গেলেও এবার তারা ১১৪টি বাঘের অস্তিত্ব পেয়েছেন। দু বছর ধরে বন বিভাগ ও বাঘ বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে করা জরিপের ফল অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা এখন ১১৪টি।
সুন্দরবনে বাঘের বিচরণ ক্ষেত্র ৪৪৬৪ কিলোমিটার এলাকাকে আপেক্ষিক ঘনত্ব দিয়ে গুণ করে এই বাঘের সংখ্যা হিসাব করা হয়েছে। সুন্দরবনে গত তিন বছরে বাঘের সংখ্যা ৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের আগারগাঁওয়স্থ বন ভবনে এ উপলক্ষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনে গত তিন বছরে বাঘের সংখ্যা ৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দরবনকে রক্ষা করতে পারলে বাঘকেও রক্ষা করা যাবে। বাঘ হলো আমাদের জাতীয় প্রাণি।
ব্লক অনুযায়ী বাঘের ঘনত্ব বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, শরণখোলা রেঞ্জে বাঘের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশী (৩.৩৩ বাঘ/১০০ বর্গ কিলোমিটার) এবং খুলনা রেঞ্জে বাঘের ঘনত্ব সবচেয়ে কম (১.২১ বাঘ/১০০ বর্গ কিলোমিটার)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত মোট চারটি ধাপে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা, খুলনা, স্মরণখোলা রেঞ্জের তিনটি ব্লকের ১৬৫৬ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বিশেষ

ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
একধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ২৪৯ দিনব্যাপী পরিচালিত এ জরিপ কার্যক্রমে ৬৩টি পূর্ণ বয়স্ক বাঘ, ৪টি জুভেনাইল বাঘ এবং ৫টি অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাঘের মোট ২৪৬৪টি ছবি পাওয়া যায়। ১০০ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ৩ বাঘ বসবাস করে।
বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব ড. বিল্লাল হোসেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. এম এ আজিজ প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।-বাসস