দুপুর এবং রাতের খাবারের সময়ের মধ্যে ব্যবধান খানিকটা বেশি। তাই বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে অন্তত একবার হলেও স্বাস্থ্যকর নাস্তা খাওয়া উচিত। কিন্তু বিকেলের ক্ষুধা নিবারণের জন্য কি খাবেন, সেটা নিয়ে অনেক স্বাস্থ্য সচেতনরাই দুশ্চিন্তায় থাকেন। মনে রাখবেন বিকেলের নাস্তা যত স্বাস্থ্যকর হবে রাতের খাবারের পরিমাণ ততই কমাতে সক্ষম হবেন। তাহলে জেনে নিন কিছু স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা।
সালাদ: বিকেলের নাস্তায় সালাদ খেতে পারেন। স্বাদে ভরপুর ও ঝটপট তৈরি করা যায় বলে নাগরিক জীবনে ডায়েট সচেতনদের মাঝে সালাদের কদর বেড়েছে। হালকা সেদ্ধ করা বিট বা গাজর, টক দই, চাট মশলা, লবণ-মরিচ মিশিয়ে সালাদ তৈরি করতে পারেন। কিংবা শসা, টমেটো, লেটুস, লবণ, কাঁচা মরিচ ও লেবুর রস মিশিয়েও সালাদ খেতে পারেন।
ফল: বিকেলের নাস্তায় খেতে পারেন আস্ত ফল। এতে পেট যেমন ভরবে তেমনই শরীরও পুষ্টি পাবে সমানভাবে। সঙ্গে রাখতে পারেন টক দই। ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সব সময় মৌসুমী ফলকে অগ্রাধিকার দেবেন। অনেকে ফলের জুস খেতে বেশি পছন্দ করেন তবে আস্ত ফল খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর।
বাদাম: বিকেল হলে বাঙালির ১০/৫ টাকার বাদাম খাওয়ার অভ্যাস অনেক পুরানো। বাদাম শরীরের জন্য উপকারী। বিকেলের নাস্তায় খেতে পারেন চিনাবাদাম, আখরোট, আমন্ড, সূর্যমুখির বীজ, ফ্ল্যাক্স সিড। এগুলো এক সঙ্গে শুকনো তাওয়ায় ভেজে নিয়ে ঠাণ্ডা হওয়ার পর কাচের বয়ামে রেখে ক্ষুধা লাগলে এক মুঠো খেয়ে নেবেন। এ ছাড়া খেতে পারেন আঙুর অথবা কিশমিশ।
ছোলা মুড়ি: বিকেলে অনেকেই ছোলা-মুড়িমাখা খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু তেল-মসলা ছাড়া সিদ্ধ ছোলা বেশি উপকারী। সামান্য লবণ-মরিচ-ধনেপাতা-লেবুর রস দিয়ে ছোলা সেদ্ধ খেতে পারেন। একই ভাবে ভুট্টা খেলেও উপকার পাবেন।
অন্যান্য খাবার: বিকেলের নাস্তায় আরও খেতে পারেন সিদ্ধ ডিম। মুরগির মাংস অল্প সেদ্ধ করে সামান্য অলিভ অয়েলে একটু রসুন, চিলি ফ্লেক্স দিয়ে হালকা ভেজে খেতে পারেন। এ ছাড়া আরও খেতে পারেন নুডুলস। আর কোনো খাবারেই অতিরিক্ত লবণের ব্যবহার করবেন না। তথ্য সূত্র: ইত্তেফাক।