ডিএমপি নিউজঃ চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে গ্রেফতারকৃত নব্য জেএমবি’র সদস্য আবদুস সবুর ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ ওরফে নসরুল্লাহর কল্যাণপুর ও হলি আর্টিসান ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে বলে জানান সিটি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
আজ ৮ জুলাই’১৭ বিকাল ৪ টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এমনটিই বললেন তিনি।
তিনি বলেন- নব্য জেএমবি’র সদস্য সোহেল মাহফুজসহ তিন সহযোগীকে সিটি, চাপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়া জেলা পুলিশ এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখার যৌথ অপারেশনে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপারেশনের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন- গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি নব্য জেএমবি’র সদস্যরা গতকাল রাতে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার কানসার্ট এলাকার চৌডাঙ্গা রোড পুস্কনি পাড় এলাকার ফজলু মিয়ার আমবাগানের টং ঘরে অবস্থান করছে। তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে আমরা চারপাশ হতে তাদেরকে ঘিরে ফেলি। রাত ২.৪০ মিনিটে সোহেল মাহফুজের সাথে মোস্তফা কামাল ওরফে জামাল, হাফিজুর রহমান ওরফে হাসান ও জুয়েল ওরফে ইসমাইলকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন- গুলশান হামলার আরও আগে থেকেই জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত ছিলেন সোহেল মাহফুজ। তিনি জেএমবির প্রতিষ্ঠাকালীন শূরা সদস্য। জেএমবির প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সে জেএমবি’র সাথে জড়িত ছিল। ২০০৬ সালে সে ভারতে পালিয়ে গিয়ে ভারতে প্রবাসী নেতাদের নিয়ে জেএমবি গঠন করে। সে ভারতে প্রথম জেএমবি’র প্রতিষ্ঠাতা আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। সে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সেখানেই ছিল। বাংলাদেশে অবস্থান করে সে অনেক অপারেশনে অংশগ্রহণ করলেও কখনও গ্রেফতার হয়নি। সোহেল মাহফুজ গ্রেফতার এড়াতে ভারতে ছিল। ভারতে সে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মোস্ট ওয়ান্টেড আসামী হিসেবে ইন্ডিয়ান পুলিশ তাকে ধরিয়ে দিতে ১০ লক্ষ রুপি ঘোষণা দিয়েছিল।
নব্য জেএমবি গঠনের পর সে দেশে এসে নব্য জেএমবির অনুরোধে এতে যোগদান করে। পরবর্তী সময়ে সে হলি আর্টিসান হামলার পরিকল্পনা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তাকে গ্রেফতার করে ঢাকায় আনা হয়েছে। তাকে আমরা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে ইতোপূর্বে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে সেই তথ্যগুলো আমরা ভেরিফাই করা হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আর কি কি নতুন তথ্য আছে তা বের করার চেষ্টা করবো। আগামীকাল তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। সেই সাথে ১০ দিনের রিমান্ডে চাওয়া হবে।
আমরা ৫ জন জঙ্গিকে খুঁজছিলাম এর মধ্যে ১ জনকে পেলাম । বাকী চারজনের মধ্যে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ আসামী রয়েছে।