তেলের সাম্রাজ্যে ভয়াবহ আক্রমণ। এর আগে তেলের খনিকে লক্ষ্য করে এত বড় হামলা হয়নি। অন্তত ১০টি ড্রোন একসঙ্গে হামলা চালিয়েছে বলে খবর। এর ফলে তেল উৎপাদনের অন্তত অর্ধেক কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। যার জেরে বিশ্বের তেল উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, এর ফলে প্রতিদিন ৫০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদনে প্রভাব ফেলবে যা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৫ শতাংশ। ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বিশ্বের সবথেকে বড় তেল প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র আবকাইক-এ ড্রোন হামলার পর আগুন জ্বলছে। ইতোমধ্যে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হাউতি।
২০১৫ সালের মার্চ থেকে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হাউতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি সামরিক জোট। ওই লড়াই শুরুর পর থেকে সৌদি আরবে বেশ কয়েক বার হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে এই বিদ্রোহীরা।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, সৌদি কর্মকর্তারা এখন মজুদ করে রাখা তেল থেকে ক্রেতাদের তেল রফতানি করছে, যাতে তেল সরবরাহ অব্যাহত থাকে। লিপো অয়েল অ্যাসোসিয়েটস এর প্রেসিডেন্ট অ্যান্দ্রে লিপো বলেন, এটা অনেক বড় ব্যাপার। হতে পারে রবিবার সন্ধ্যা থেকে তেলের দাম ব্যারল প্রতি ৫ থেকে ১০ ডলার বেড়ে যাবে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা জানায়, তারা ড্রোন হামলার পরিবর্তী পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসন ও দখল অব্যাহত থাকলে সৌদি আরবে আরও বড় আকারের হামলা চালানো হবে এবং সেটি আরও বেশি কষ্টদায়ক হবে।