এফএ কাপের ফাইনালে স্টার্লিংয়ের হ্যাটট্রিকে শিরেোপা জিতল ম্যান সিটি। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ফাইনালে ওয়াটফোর্ডকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয় সিটি। অপর গোলগুলো করেছেন সিলভা, কেভিন ডি ব্রুইনে ও জেসুস।
ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতায় এটা তাদের ষষ্ঠ শিরোপা। এর আগে সবশেষ ২০১০-১১ মৌসুমে এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি।
ম্যাচের ২৬তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পেয়েই এগিয়ে যায় সিটি। রাহিম স্টার্লিংয়ের হেডে বাড়ানো বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দাভিদ সিলভা। বল এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ভিতরে ঢোকে।
৩৮তম মিনিটে গোছানো এক আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। বের্নার্দো সিলভার দারুণ পাস পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে টোকা দেন জেসুস। বল লক্ষ্যেই ছিল, শেষ মুহূর্তে গোল লাইনের উপর থেকে ডান পায়ের শটে স্কোরলাইনে নাম লেখান ইংলিশ মিডফিল্ডার স্টার্লিং।
৬১তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে কেভিন ডি ব্রুইনে ব্যবধান বাড়ালে ম্যাচের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় সিটি। জেসুসের পাস পেয়ে গোলরক্ষককে কাটিয়ে গোলটি করেন বেলজিয়ামের এই মিডফিল্ডার।
সাত মিনিট পর আরেকটি পাল্টা আক্রমণে জয় নিশ্চিত করে ফেলেন জেসুস। মাঝমাঠের কাছ থেকে ডি-ব্রুইনের বাড়ানো বল ধরে অনেকটা এগিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে প্লেসিং শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
শেষ দিকে ছয় মিনিটের ব্যবধানে আরও দুবার জালে বল পাঠিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন স্টার্লিং। বাঁ দিক থেকে বের্নার্দো সিলভার দূরের পোস্টে বাড়ানো বল প্লেসিং শটে জালে জড়ান স্টার্লিং। ৮৭তম মিনিটে তার প্রথম শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক, তবে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বল পোস্টে লেগে ফিরে আসলে ছুটে গিয়ে লক্ষ্যে পাঠান মৌসুম জুড়ে দুর্দান্ত খেলা স্টার্লিং।
উল্লেখ্য ওয়াটফোর্ডকে হারিয়ে অনন্য কীর্তি গড়ল ম্যানচেস্টারের দলটি। লিগ কাপ ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পর এফএ কাপের শিরোপাও ঘরে তুললো ম্যানচেস্টার সিটি। সেই সঙ্গে প্রথম ক্লাব হিসেবে এক মৌসুমে ইংলিশ ফুটবলের তিনটি প্রতিযোগিতারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়ল পেপ গুয়ার্দিওলার শিষ্যরা।