এ বছর সাহিত্য ক্যাটাগরিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে না বলে জানিয়েছে দ্য সুইডিশ অ্যাকাডেমি। যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে সৃষ্টি হওয়া বিতর্কিত পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার রীতি চলে আসছে। এই ধরনের ঘটনার এবারই প্রথম।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, সুইডিশ অ্যাকাডেমি আগামী বছর ২০১৮ ও ২০১৯ সালের দু’টি পুরস্কার একবারে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই সংকট সৃষ্টি হওয়ার পরে অ্যাকাডেমির প্রধান এবং আরও চার সদস্য অংশগ্রহন করবেন না বলে জানান।
অ্যাকাডেমির বিধি অনুযায়ী, আজীবন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয় এবং কেউ চাইলেই পদত্যাগ করতে পারেন না। তবে কোনো সদস্য চাইলে অংশ নাও নিতে পারেন। এসব ঘটনার পরে অ্যাকাডেমি বিধি পরিবর্তন করার কথা ভাবছে। নতুন বিধিতে কেউ চাইলে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করতে পারবেন।
সর্বশেষ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারটি স্থগিত ছিল।
যৌন ও আর্থিক কেলেঙ্কারির ইস্যুতে সুইডিশ একাডেমির ছয়জন সদস্য ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। যাদের মধ্যে রয়েছে সংস্থার প্রধান সারা ডেনিউস।
এদিকে গত নভেম্বরে ‘মি টু’ ক্যাম্পেনের সময় সুইডিশ একাডেমির ১৮জন নারীকর্মী যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন সংস্থারই এক কর্তার বিরুদ্ধে। ১৯৯৬ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত আর্নল্ট নামে ওই কর্তা বিভিন্ন সময়ে বহু নারীকর্মীকে যৌন হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ওই ১৮জনের মধ্যে দু’জন— গ্যাব্রিয়েলা হাকানসন এবং এলিজে কার্লসন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখও খোলেন। পরের দিনই সংস্থার প্রধান সারা জানান, আর্নল্টের সঙ্গে সমস্তরকমের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সুইডিশ অ্যাকাডেমি।