বাঙালির ইতিহাস ঐতিয্য, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর অবদানের দুর্লভ তথ্যচিত্র নিয়ে ভোলার উপশহর খ্যাত বাংলাবাজারে স্থাপিত স্বাধীনতা জাদুঘর উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে বাঙালির ইতিহাসে সাজানো তিনতলা বিশিষ্ট এ জাদুঘরের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি। অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মেধা ও মমন, কবি তারিক সুজাতের থিমে সজ্জিত এবং স্থাপত্য শিল্পী ফেরদাউস আহমেদের নকশায় গড়ে তোলা এই জাদুঘরটিকে আরো সুন্দর করেছে এর পাশে থাকা স্থাপত্য শৈলীর অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে ফাতেমা খানম জামে মসজিদ, ফাতেমা খানম ডিগ্রি কলেজ, ফাতেমা খানম বৃদ্ধাশ্রম, নির্মাণাধীন আজহার ফাতেমা খানম মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাসমূহ।
তোফায়েল আহমেদ ট্রাস্টের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত জাদুঘরটি রাষ্ট্রপতি উদ্বোধন করার পরই সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। ৪৭-এর দেশ বিভাগের পর থেকেই বাংলার স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস ধারাবাহিকভাবে দুর্লভ সংরক্ষণ পাওয়া যাবে এখানে। জাদুঘরের তিনটি তলার প্রথম তলায় লাইব্রেরি, অডিটোরিয়াম এবং প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের আলোকে সাজানো হয়েছে। পরে রাষ্ট্রপতি বাংলাবাজার ফাতেমা খানম মহিলা ডিগ্রি কলেজে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
এর আগে এই জাদুঘরের স্বপ্নদ্রষ্টা বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, স্বাধাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরাই ছিল আমার অনেক দিনের স্বপ্ন। এটি শুধু ইতিহাসই তুলে ধরবে না বরং ইতিহাসের গবেষণাগার হিসেবে সমাদৃত হবে সবার মাঝে।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জাতিকে যেমন আন্দোলিত করেছিল তেমনি তা আজ গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে ইতিহাসের জ্ঞান পিপাসুদের মাঝে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলসহ প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।