শহরে ফণীর তেমন প্রভাব না পড়লেও বেশ কিছু অঞ্চলে ফণীর প্রভাবে ঝড়-জল হয়। প্রবল গরমের মধ্যে হঠাৎই আবহাওয়ার পরিবর্তিত হলে অবধারিত ভাবে দেখা দেয় পেটের সমস্যা ও হজমের সমস্যা। মূলত পরিশুদ্ধ জলের অভাবেই ছড়িয়ে পড়তে থাকে ডায়ারিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, কলেরার মতো রোগ। তবে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করলে এড়ানো যায় এই সংক্রমণের সম্ভাবনাও। এর মধ্যে সব রোগই যে মারাত্মক, তেমনটা নয়। প্রথম অবস্থা থেকে সাবধান হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাড়িতে রেখেও সুস্থ করা সম্ভব। তবে তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই প্রয়োজন।
এই ধরণের সংক্রমণের সম্ভাবনা সবসময়েই তৈরি হয় খাবার জল থেকে। কাজেই সে ব্যপারে সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি । কী ভাবে জলকে পরিশুদ্ধ করব? ‘‘জিওলিন ব্যবহার করুন। জিওলিন হাতের কাছে না পেলে কাজ চালাতে ব্যবহার করা যেতে পারে ফটকিরি। জলে ফটকিরি দিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর তলানি বাদ দিয়ে উপরের অংশ অন্য ব্যবহার করুন। ছোটদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ফোটানো জল ব্যবহার করতে হবে।’’
এ ছাড়াও বিশেষজ্ঞরা বার বার বলছেন, বৃষ্টিতে ভিজে গেলে, চেষ্টা করুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্নান করে নিতে। এর ফলে আবহাওয়ার জীবাণু শরীরের ক্ষতি করতে পারে না। শুধু পেটের সমস্যাই নয়। গোল বাধাতে পারে মশাও। সে ব্যাপারেও আগাম সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকেরা। রইল মশা প্রতিকারের দাওয়াই।
◊ বাড়ির ভেতর ফুলের টব, টায়ার, বালতি ইত্যাদি ফেলে রাখা পাত্রে জল জমতে দেবেন না।
◊ মশার হাত থেকে বাঁচতে মশারি টানাতেই হবে। বাড়িতে ছোট শিশু থাকলে তাকে মশারির ভেতরেই রাখুন।
◊ বাড়ির চারদিকে জানলায় নেট লাগাতে পারলে ভাল। তাহলে মশার প্রবেশ রোখা যাবে অনেকটা।
◊ সন্ধেবেলায় ধুনো জ্বালান। মশার অব্যর্থ দাওয়াই ধুনো।
◊ ছোটদের মশার হাত থেকে বাঁচাতে মশা নিরোধক ক্রিম লাগিয়ে দিন।
◊ ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা এই সময় বাড়ে, নাক-মুখ ঢেকে রাস্তায় বেরন।
◊ ঘন ঘন স্নান করবেন না। বাইরে থেকে এলে ঈষদুষ্ণ গরম জলে ভাপ নিন।