গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন বছর পঞ্চান্নর প্রৌঢ়া। জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে ঝড়ের গতিতে ছুটছিল গাড়ি। আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললেন প্রৌঢ়া। এরপরই যা ঘটল, তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। গাড়ি জাম্প করে প্রায় শূন্য উঠে যায়। রাস্তার ধারে একটি গাছের ডালে আটকে যায় গাড়ির জানালা। মহিলা অচৈতন্য হয়ে পড়েন। এখানেই শেষ নয়, টানা ৬ দিন ওই ভাবেই গাছের ডালে ঝুলন্ত গাড়ির মধ্যে আটকে থাকলেন তিনি। যখন জ্ঞান ফিরল, তখন গাছ থেকে নামতে পেরেছিলেন বটে, কিন্তু চলার ক্ষমতা ছিল না। তবে কীভাবে বেঁচে ফিরলেন ওই প্রৌঢ়া? ফিনিক্সের এই ঘটনা যেন হার মানাবে যে কোনও রূপকথার গল্পকে।
গত ১২ অক্টোবর ‘লং ড্রাইভ’এ যাবেন বলে বাড়ি থেকে একাই গাড়ি নিয়ে বের হন ওই প্রৌঢ়া। ফিনিক্স থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তর দিকে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। গাড়ির গতিবেগ তার স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ছিল। আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন প্রৌঢ়া। গাড়িটি ধাক্কা প্রায় উড়ে গিয়ে একটি গাছের ডালে আটকে যায়। ৬ দিন জ্ঞান ফেরেনি মহিলার। এরপর জ্ঞান ফিরলে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে কিছুটা চলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শারীরিক অক্ষমতার কারণে চলতে পারেননি তিনি। কিন্তু জনমানব শূন্য ওই এলাকা থেকে বেরিয়ে আসতেও পারেননি ওই প্রৌঢ়া।
এরইমধ্যে ১৮ অক্টোবর পাশের গ্রামের এক বাসিন্দার গরু চড়তে চড়তে ওই এলাকায় চলে আসে। চাষি তার গুরু খোঁজ করতে গিয়ে গাড়িটিকে গাছের ডালে ঝুলে থাকতে দেখেন। তখনই তার মনে সন্দেহ হয়। বিপদ আঁচ করতে পেরেই জঙ্গলের চারদিক ঘুরে দেখেন তিনি। তখনই ওই প্রৌঢ়াকে রুগ্ন আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি তাকে উদ্ধার করে রেললাইন ধরে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এতদিন টানা না খেয়ে থাকার দরুণ দুর্বল হয়ে পড়েন প্রৌঢ়া। পরে ওই ব্যক্তি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ গিয়ে ওই মহিলাকে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করে। আপাতত সুস্থ রয়েছেন ওই প্রৌঢ়া।